মহিলা ফুটবল লীগে নিজেদের দ্বিতীয় পর্বের খেলা শুরু করেছে কুমিল্লা ইউনাইটেড। কিন্তু সেই দলের সকল খেলোয়াড়দের অচেনা মনে হলো। কৌতুহলী হয়ে জানতে চাই বিষয়টি কি? অবাক করে প্রথম পর্বে খেলা খেলোয়াড়দের বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন দল নিয়ে দ্বিতীয় পর্বে মাঠে নেমেছে দলটি। হঠাৎ এইরকম দলবদলের কারণে জানতে চেষ্টা করলে বেরিয়ে এলো ক্লাবের বিরুদ্ধে করা কোচ ও খেলোয়াড়ের অভিযোগে বিষয়টি।
অশালীন ব্যবহার সহ মোট চারটি অভিযোগ এনে কুমিল্লা ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বরাবর চিঠি দিয়েছে প্রথম পর্বে দলের কোচের দায়িত্বে থাকা মোঃ নুরুল ইসলাম বেলাল। অফসাইডকে তিনি জানান, ‘আমি দিনাজপুর থেকে আবেদনটি কুরিয়ার করেছি বাফুফে’তে। আশা করি তারা এটি দেখবেন।’
অভিযোগ গুলো হলো –
- দলীয় ম্যানেজার মৌখিক চুক্তিতে ৫ লক্ষ টাকা ঐ কোচ থেকে ২০ জন খেলোয়াড় চুক্তিবদ্ধ করে। কিন্তু তাদের মাত্র ১ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে।
- থাকা-খাওয়ার নিরাপত্তা ছিলো নিম্নমানের।
- দলীয় ট্রেনার আবদুল্লাহ আল মামুন ফুটবলারদের সাথে অত্যন্ত অশালীন আচরন করেছেন।
- সাতটি খেলার পর শুধুমাত্র যাতায়াত ভাড়া দিয়ে দলও আবাসন স্থল থেকে বের করে দেয় এবং অন্য ফুটবলার দলে নেয়।
অভিযোগগুলো জানতে যোগাযোগ করা হয় দলীয় ট্রেনার ও অশালীন আচরণের অভিযোগ প্রাপ্ত আবদুল্লাহ আল মামুনের সাথে। তিনি অফসাইডকে জানান, ‘আমাদের বিপক্ষে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাদের সাথে আমাদের কোন প্রকার লিখিত চুক্তি নেই। আমরা তাদের সকল পাওনা মিটিয়ে দিয়েছি। মধ্যবর্তী দলবদলে তাদের রেজিস্টেশন করিনি কারন তাদের পারফর্মেন্স ভালো নয়। একই কারনে আমরা কোচও বদল করেছি। যদি ফেডারেশন আমাদের ডাকে আমরা সেখানে আমাদের যুক্তি তুলে ধরব ও আনিত অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।’
মহিলা লীগের প্রথম পর্ব শেষে মাত্র একটি পয়েন্ট অর্জন করে ক্লাবটি। ৫ হারের বিপরীতে জয়ের কোটা ছিলো শূন্য। মূলত এই ব্যর্থতায় ক্লাব কোচ সহ সব খেলোয়াড়দের পরিবর্তন করায় বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ভিত্তিহীন এইসব অভিযোগ করছে এমনটা জানিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
চিঠিটি পাঠানো হলেও এখনও তা বাফুফে বরাবর পৌঁছায়নি বলে জানান বাফুফে’র মহিলা উইংয়ের এক্সিকিউটিভ খন্দকার রাকিবুল ইসলাম। তবে অভিযোগ বাফুফেতে পৌঁছালেও তেমন কোন সমাধান আশা করা যাচ্ছে না। কারণ এই বছর বাফুফে থেকে কোন ধরনের চুক্তিপত্র প্রদান করা হয়নি। অফসাইডকে রাকিবুল ইসলাম জানান, ‘আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ এসে পৌঁছায়নি। যদি আসে আমরা সেটা দেখবো তবে এরকম অভিযোগের পক্ষে আমরা কোন প্রকার ব্যবস্থা নিবনা। কারন আমরা মৌসুম শুরুর সময় ফেডারেশন থেকে ক্লাব বা খেলোয়াড়দের কোন প্রকার চুক্তিপত্র প্রদান করিনি। যেহেতু কোন প্রকার চুক্তিপত্র নেই, সেহেতু আমরা অভিযোগ গ্রহন করতে পারিনা। তবে পরবর্তিতে আমরা চুক্তির বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করবো।’