জোড়া আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের জন্য ভুটান সফরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে দেশটির উচ্চতা ও ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য জোর চেষ্টা করে যাচ্ছে ফুটবলাররা। কিছুটা প্রতিকূল পরিস্থিতি হলেও মানিয়ে নিয়ে দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিতে চায় বাংলাদেশ।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৪০০ মিটার উপরে অবস্থান ভুটানের রাজধানী থিম্পুর। এছাড়া খেলা হবে আর্টিফিসিয়াল টার্ফে। সবসময় ঘাসের মাঠে খেলে অভ্যস্ত জামালরা সেটার সঙ্গেও মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায়। আজ ম্যাচ ভেন্যু চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে জামাল বলেন, ‘আজ প্রথম অনুশীলন করলাম (ম্যাচ ভেন্যুতে)। মাঠ অনেক ফাস্ট (গতিময়)। সবার ব্রেথিংয়ে (শ্বাস নিতে) একটু সমস্যা হচ্ছে। আরও এক-দুই দিন সময় লাগবে। আমি মনে করি, সবাই সেরা পর্যায়ে নেই, আস্তে আস্তে সবাই সেরা পর্যায়ে আসছে।’
এর সঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক আরো যুক্ত করেন, ‘আমরা জানি, ভুটানে মৌসুমের মধ্যবর্তী সময় চলছে। তো ওদের খেলোয়াড়রা সবাই ফিট আছে। কীভাবে রক্ষণ সামলাতে হবে, কীভাবে আক্রমণ করতে হবে, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা জানি, এটা ভুটানের হোম গ্রাউন্ড, তো আমাদের একটু বেশি খেয়াল করতে হবে।’
অধিনায়কের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মিডফিল্ডার সোহেল রানাও বলেছেন নিঃশ্বাস নিতে কিছুটা সমস্যায় পড়ার কথা। তবে দ্রুতই এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ম্যাচগুলো জয়ের চেষ্টা করবো। র্যাঙ্কিংয়ে যদি আমরা ভালো অবস্থানে থাকতে চাই, তাহলে জিততে হবে। অবশ্যই জয়ের জন্য মাঠে নামবো। যে মাঠে খেলবো, সেখানে আজ প্রথম আমরা অনুশীলন করেছি। আমাদের শ্বাস নিতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে আমরা এখনও দুই দিন সময় পাবো, এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য।’
ডিফেন্ডার রহমত মিয়াও সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে দুই ম্যাচেই জয় চান। একইসঙ্গে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির দিকেও নজর রেখে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য ৬ পয়েন্ট, দেশে থাকতেই আমরা বলে এসেছি যে, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের জন্য এই দুইটি ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা জানেন, সামনে যে এশিয়ান কাপ আছে, সেখানে পট-৩ তে থাকা গুরুত্বপূর্ণ, এ কারণে এই ৬ পয়েন্ট আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটা নিয়েই দেশে ফিরতে চাই।’