গতকাল পর্যন্ত প্রায় অনিশ্চয়তায় দিন কাটিয়েছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এবং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের খেলোয়াড়রা। মূলত এই দুই ক্লাবের বিপিএল থেকে সরে আসা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়। এতে করে অনিশ্চিতার মধ্যে পড়ে ক্লাবগুলোর সাথে চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়রা। গতকালে বাফুফে সভাপতির দাবি জানিয়ে সভা করে। আজকে দ্বিতীয় দিনেও তাদের বিক্ষোভ পালন করেছে এসব ফুটবলাররা।
দলবদলের শেষ মুহুর্তে এসে উল্টোপথে হাঁটা শুরু করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এবং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। তারা বিপিএল খেলতে অস্বীকৃতি জানায়, তাও দলবদলের একেবারে শেষ মুহুর্তে। ফলে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়রা অসহায় হয়ে পড়ে। শেষ মুহুর্তে ক্লাব দুইটির এমন স্বীদ্ধান্তের জন্য পুরো এক সিজন ফুটবল থেকে বাদ পড়তে পারে তাদের সাথে চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়েরা। তাই তার এহেন কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানিয়ে বাফুফে ভবনে গতকাল সভা করেছিলো।
খেলোয়াড়দের প্রতিবাদ বিক্ষোভের আজ দ্বিতীয় দিন। আজ তাদের সাথে যোগ দিয়েছে সাবেক খেলোয়াড়েরাও। খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা করে দলগুলোর পৃষ্ঠপোষকদের সাথে যোগাযোগ করবে বলে জানান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। বাফুফে সভাপতি আশ্বাস দিলেও চট্টগ্রাম আবাহনীর পর শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পক্ষ থেকে লীগে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে। তবে আশা হারাচ্ছেন না ফুটবলাররা।
গতকাল ফুটবলারদের ৭ দফার মাঝে একটি ছিলো শুধুমাত্র দেশীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে লীগ আয়োজন; এই দাবির প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন সাবেক ফুটবলাররা। তাদের মতে যদি দেশীয় ফুটবলারদের নিয়ে যদি লীগ আয়োজন করা হয় তাহলে বসুন্ধরা কিংস যে টাকাটা ব্যয় করে, সে টাকা দিয়ে তিনটা ক্লাব খুব সহজে চালানো যাবে। এছাড়া তরফদার রুহুল আমিনকেও চট্টগ্রাম আবাহনীর হাল ধরার জন্য আহবান জানিয়েছেন সাবেকরা।
আজ ক্রীড়া উপদেষ্টার অনিশ্চয়তা ভোগা ফুটবলারদের দেখা করার কথা ছিলো, তবে দেখা করেছে শুধুমাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। শেখ জামাল ও শেখ রাসেলের নামে ক্লাব পরিচালনা নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা সম্মতি জানিয়েছেন বলে জানান বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। তিনি বলেন, “লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ,শেখ রাসেল এই নামগুলো নিয়ে সরকারের কোনো সমস্যা নেই। তারা ক্লাবগুলো নিরাপত্তা এবং যোকোনো সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে। এটাই ছিলো তার বক্তব্য। এছাড়া ক্লাবগুলোকে নিজেদের স্পন্সর নিজেদেরকে জোগাড় করতে বলেন।”