বাংলাদেশ হেরেছে,আরো একবার স্বপ্নের তরী ডুবেছে,তবে লড়াই করে হেরেছে,শেষ সময় পর্যন্ত চাপে রেখে হেরেছ। প্রতিপক্ষ কুয়েত নিতান্ত শক্তিশালী দল বাংলাদেশের কাছে,তবে ইচ্ছাশক্তি আর দেশপ্রেম থাকলে মানুষের কাছে বৃহৎ শক্তিও যে কিছু না তা আরো একবার প্রমাণ করেছে দেখিয়ে বাংলাদেশ।
রেফারীর বাঁশিতে খেলা শুরু হয় টানাটান উত্তেজনা দিয়ে। ম্যাচের মাত্র ২ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের কাছে গোল করার সুযোগ চলে আসে। রাইট উইং থেকে রাকিবের বাড়ানো বল পেয়েছিলো বাংলাদেশের ওয়ান্ডার কিড শেখ মোরসালিন। কিন্তু পরবর্তীতে পায়ের সাথে কালেক্ট করতে পারলে সহজ সুযোগ হাতছাড়া হয়। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটের মধ্যে বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠেছে কুয়েত কিন্তু বাংলাদেশের শেষ স্তম্ভ আনিসুর রহমান জিকোর প্রাচীরকে টলাতে পারেনি কুয়েতের খেলোয়াড়রা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। মোরসালিনের পাস থেকে মাঠের ডানপ্রান্ত দিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়ে রাকিব হোসেন। শট গোলমুখ বরাবর, বল গোলরক্ষককে অতিক্রম করে গেলো আটকে যায় ক্রসবারে। হতাশার চাদরে ডাকা পড়ে বাংলাদেশের উচ্ছ্বাস, বেঁচে যায় কুয়েত। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও নিজের দায়িত্বে অটল থেকেছেন আনিসুর রহমান জিকো। তার অতিমানবীয় কিছু সেভে ৯০ মিনিটে স্কোরলাইন গোলশূন্যই থাকে,খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ক্লান্তি এবং অবসাদে আড়ষ্ট হয়ে আসে বাংলাদেশের টাইগারদের পদযুগল। আর এটিকেই কাজে লাগায় কুয়েত দল। চাপ সৃষ্টি করে বাংলাদেশের রক্ষণভাগে,ফলাফলও আসে অতিদ্রুত। অতিরিক্ত সময়ের ইঞ্জুরি টাইমে সতীর্থে বাড়ানো থ্রু বলকে নিয়ন্ত্রণে নেয় কুয়েতে আব্দুল্লাহ আমার। বক্সের ভেতরে ঢুকলে তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের তপু বর্মন। কিন্তু গোল করতে ভুল করেন নি আব্দুল্লাহ। তপুর পায়ে ফাঁক দিয়ে বল গলিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন। আনিসুর রহমান জিকো কিছু বুঝে উঠার আগেই গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। পরবর্তী ১৫ মিনিটে বেশ কয়েকবার কুয়েতের গোলরক্ষককে পরীক্ষায় ফেলেছে বাংলাদেশ। রহমত মিয়া আউট সাইড দ্যা বক্স শট কিংবা রাকিবের গোলমুখে নেওয়া শট সব ঠেকিয়ে দেন কুয়েতের গোলরক্ষক আল রহমান কামিল।
এতে করে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের হারে সাফ জয়ের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে আসে বাংলাদেশ।