চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আজ ফেডারেশন কাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী মুখোমুখি হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-১ গোলে পরাস্ত করে সাদা-কালো শিবির।
ম্যাচের প্রথমার্ধে তেমন কোনো জোরালো আক্রমণ করতে পারে নি কোনো দল। ফলে প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য ড্র থেকেই শেষ হয়। ম্যাচের মূল আকর্ষণ তৈরি হয় দ্বিতীয়ার্ধে। দুই দলই তাদের আক্রমণের ধার বাড়ায়। ৫৫ মিনিটে গোলের সুযোগ আসে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে। সতীর্থ বল ক্লিয়ারেন্স থেকে বল পেয়ে যান সাখাওয়াত রনি। বল নিয়ে খানিকটা বাম দিক দিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকেন রনি। সেখান থেকে বাম পায়ের অন টার্গেট শট নেন। কিন্তু মোহামোডান গোলরক্ষক সুজন তা রুখে দেন।
ম্যাচের ৬৫ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় মোহামেডান। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের আলমগীর মোল্লা রাইট উইং দিয়ে উপরে উঠে থ্রু পাস দেন অবি মোনেকের কাছে। অবি মোনাকে থেকে বল পায় অনিক হোসেন। অনিকের কাটব্যাকে বল পায় শাহেদ মিয়া। শাহেদ মিয়া সরাসরি গোলে শট নেন। চট্টগ্রামের গোলরক্ষক সাইফুল ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়লেও আরাফাত হোসেনের পায়ে লেগে বলটি দিক পরিবর্তন করে জালে জড়ায়। ফলে আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে লিড নেয় মোহামেডান।
৭৪ মিনিটে মোহামেডানকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন শাহরিয়ার ইমন। তবে এবারো গোল হজমের পিছনে দায়ী চট্টগ্রাম আবাহনীর রক্ষণ। গোলরক্ষক সাইফুলের কাছ থেকে বল পেয়ে বলকে ক্লিয়ার করতে যান চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডার কামরুল ইসলাম। কিন্তু বলটি শাহরিয়ার ইমনের পায়ে লেগে গোলে পরিণত হয়। ম্যাচের ৭৯ ও ৮০ মিনিটে মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনী দুইদলই দুইটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে।
ম্যাচের ইঞ্জুরি টাইমে এসে একটি গোল শোধ করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর পিটার থ্যাংক গড। কামরুল ইসলামের কর্ণার কিক থেকে অবি মোনেকের ব্যাকহেডে সুযোগ পান পিটার থ্যাংক গড। সুযোগ পেয়ে হেডে গোল আদায় করতে ভুল করেন নি এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। ইঞ্জুরি টাইমে আরো একটি সুযোগ পান চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু বক্সের ভেতর দারুণ সুযোগ পেয়েও কেন ডেইসা দুর্বল অন টার্গেট শট গোলরক্ষক তা দু’হাতে লুফে নেন। ফলে ২-১ গোলের জয় দিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অন্যদিকে এই পরাজয়ে ফেডারেশন কাপ ছিটকে পড়ে বাড়ির দিকে পা বাড়াতে হয় বন্দরনগরীর দল চট্টগ্রাম আবাহনীকে।