ভারত-বির্তক-নতুন নাটক এই তিনটি শব্দ যেন একই সূত্রে গাঁথা। ভারত কোনো খেলায় অংশ নিবে আর সেখানে কোনো না কোনো বির্তক হবে এটিই যেনো ধ্রুব সত্য। এই ধ্রুব সত্য আবারো প্রমাণিত হলো সাফ অ-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়শীপের ফাইনালে। রেফারি এবং ম্যাচ কমিশনারের বির্তকিত সিদ্ধান্তে ভারত এবং বাংলাদেশ উভয় দলকেই সাফ অ-১৯ এর এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ ও ভারত। রেগুরেশন টাইমে খেলা ১-১ গোলে ড্র করে দুই দল। ম্যাচের প্রথমার্ধে শিবানী দেবীর গোলে ভারত এগিয়ে যায়,তবে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহুর্তে এসে সাগরিকার গোলে ম্যচে ফিরে বাংলাদেশ। এতে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে প্রথম ৫ শটের ৫ টিতেই গোলে দুইদল। পরের ৬ শটেও নির্ভুলভাবে গোল করে উভয়ই। এতে করে দুইদল ১১ জনের ভেতরে ১১ জনই গোল করতে সক্ষম হয়।
এইরকম পরিস্থিতিতে ফিফার রুলবুক অনুযায়ী টাইব্রেকার পুনরায় পরিচালনা করার নিয়ম আছে। কিন্তু পুনরায় টাইব্রেকারে না গিয়ে টস করে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয় রেফারি। উক্ত টসে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে রেফারির এমন সিদ্ধান্তে অসম্মতি জানায় বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। খেলোয়াড় পাশাপাশি কোচিং স্টাফরা এহেন আচরণের প্রতিবাদ জানায়। এতে দ্বিধায় পড়ে যায় রেফারিগণ। পরবর্তীতে ম্যাচ কমিশনার ম্যাচ আবারো মাঠে গড়ানোর নির্দেশ প্রদান করেন। তবে এবার বেঁকে বসে ভারতীয় নারী দল। তারা সরাসরি ম্যাচ খেলতে অসম্মতি জানায়। ভারতীয় দলের এমন দেখে পরবর্তী ৩০ মিনিটের ভেতরে ভারতীয় খেলোয়াড়েরা মাঠে না নামলে বাংলাদেশকে খেলায় জিতিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান ম্যাচ কমিশনার। তবে এই সিদ্ধান্তেও অটল থাকতে পারেন নি স্বয়ং কমিশনার। ৩০ মিনিটের কথা বললেও ৩০ মিনিটের বেশী সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও বাংলাদেশ জয় ঘোষণা করেন নি তিনি। পরবর্তীতে প্রায় দেড় ঘন্টারও অধিক সময় পর হাস্যকর ভাবে ভারত এবং বাংলাদেশকে যৌথভাবে টুর্ণামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন ম্যাচ কমিশনার ড. সিলভা জয়সুরিয়া ডিলান।
কিন্তু তাও থেকে যায়। ফিফা রুলবুক অনুযায়ী যেখানে টাইব্রেকার পুনরায় পরিচালনা করার কথা ছিলো সেখানে রেফারির মাথায় কিভাবে টস করে ম্যাচের জয়-পরাজয় নির্ধারণের চিন্তা মাথায় আসলো। এটা কি নিছকই কোনো অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ নাকি গোপণ কোনো আঁতাত? তবে তার চেয়ে বড় প্রশ্ন বির্তকিত সিদ্ধান্ত গুলোই কেনো বছরের পর বছর ধরে ভারতের পক্ষেই যাচ্ছে?