একরাশ হতাশা নিয়েই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাত্রা শেষ করেছে বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচ খেলে মাত্র ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে টেবিলের তলানিতে থেকেই বিদায় নিয়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। ঘরের মাঠে ভালো খেললেও অ্যাওয়ে ম্যাচে একেবারেই ছন্নছাড়া ছিল বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে যাত্রা শেষ হলেও বাংলাদেশের পরবর্তী মিশন এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে ৯ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নিয়েছিল মোট ৩৬টি দেশ। প্রতিটা গ্রুপের শীর্ষ দুই দল অর্থাৎ ১৮টি দল জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে। একইসঙ্গে এই ১৮ দল খেলবে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা বাকি ১৮ দল, প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়া দলগুলোর মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা ৩ দল এবং প্লে অফ থেকে আসা ৩ দল সহ মোট ২৪ দলকে নিয়ে হবে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব।
হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি প্লে অফ ম্যাচ। যেখানে লড়বে শ্রীলঙ্কা-কম্বোডিয়া, পূর্ব তিমুর-মঙ্গোলিয়া এবং ব্রুনাই-ম্যাকাও। দুই লেগ মিলিয়ে এই ৩ ম্যাচের জয়ী দল যুক্ত হবে ৪র্থ পটে। যেখানে আগে থেকেই আছে প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়া ভুটান, লাওস ও পাকিস্তান। প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়লেও র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকায় ৩য় পটে জায়গা পেয়েছে মালদ্বীপ। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশসহ আরো রয়েছে হংকং, চাইনিজ তাইপে, মায়ানমার ও নেপাল।
এছাড়া ১ম পটে রয়েছে সিরিয়া, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লেবানন ও ভারত। আর ২য় পটে রয়েছে মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তুর্কমেনিস্তান, আফগানিস্তান, সিঙ্গাপুর ও ইয়েমেন। প্রতিটা পট থেকে একটি করে দল নিয়ে হবে মোট ছয়টি গ্রুপ। অর্থাৎ প্রতি গ্রুপে থাকবে ৪টি করে দল। এরপর হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে খেলা। ২০২৫ সালের মার্চে শুরু হবে এই বাছাইপর্ব, চলবে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দল খেলবে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে। ২০২৭ সালে সৌদি আরবে আয়োজিত হবে এশিয়ান কাপের মূল পর্ব।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের হতশ্রী পারফরম্যান্স সবার মনেই উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অবশ্য র্যাঙ্কিংয়ে সবগুলো দলই ছিল বাংলাদেশের চাইতে ঢের এগিয়ে। তারপরও আশানুরূপ সাফল্য না পেয়ে হতাশ ফুটবল প্রেমীরা। বাংলাদেশ দলের কোচ হ্যাবিয়ের ক্যাবরেরাও দলকে এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডের বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুত করার দিকেই দিতে চান দৃষ্টি।
‘এখন আমাদের উজ্জীবিত হতে হবে, সবাইকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করতে হবে এশিয়ান প্রস্তুত হওয়ার জন্য।’