বড়রা না পারলেও, ছোটরা ঠিকই পেরেছে। ‘সাফ অ-১৬ চ্যাম্পিয়নশীপ’ এর প্রথম ম্যাচে ভারতের সাথে পরাজিত হলেও, আজ সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনাল খেলতে চলেছে বাংলাদেশ দল।
খেলা শুরুর ৬ মিনিটের সময় ম্যাচে ব্রেকথ্রু পেয়ে যায় পাকিস্তান। ফাইনাল থার্ড অঞ্চল থেকে মোহাম্মদ শাহাব আহমেদের পাস থেকে বক্সের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশ গোলরক্ষক নাহিদুল ইসলামের হাতের উপর দিয়ে বলকে জালে পাঠিয়ে দেন পাকিস্তান দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড় আব্দুল গণি।
এর কিছুক্ষণ বাদেই ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ দল। ১৪ তম মিনিটে মাঠের ডানপ্রান্ত থেকে মোহাম্মদ আবু সাইদের করা ক্রস থেকে পাকিস্তান গোলরক্ষক গোলাম আব্বাস ও দুই ডিফেন্ডার ওবায়দুল্লাহ খান এবং উমর জাভেদের ফাঁক গলে বেরিয়ে এসে হেডে গোল করেন মোহাম্মদ মোর্শেদ আলী। মোর্শেদের গোলেই ম্যাচে সমতা ফিরে পায় বাংলাদেশ।
২৭ মিনিটে পাকিস্তান দলের হারুন রশীদের ফ্রি কিক ডানদিকে শুয়ে পড়ে ঠেকিয়ে গোলরক্ষক নাহিদুল ইসলাম। ফিরতি বলে গোলের সুযোগ তৈরীর আগেই বল ক্লিয়ার করে ফেলেন বাংলাদেশ দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের মোহাম্মদ ইমরান খান।
পাকিস্তান লিড পেতে ব্যর্থ হলেও ব্যর্থ হয় নি বাংলাদেশ। ২৯ মিনিটের মাথায় পাকিস্তানের জালে দ্বিতীয়বারের মতো বল পাঠায় বাংলাদেশ। দলীয় অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সালের ক্রস থেকে গোলটি করেন মোহাম্মদ আবু সায়েদ। এতে ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-১ এ।
ম্যাচে লিড নিয়ে খানিকটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা চালিয়ে যায় বাংলাদেশ। এর ফলে পাকিস্তান দল বাংলাদেশের অর্ধে বল নিয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করলেও বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা তাতে বারবার ব্যাঘাত ঘটায়। এতে করে বড় কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারে নি পাকিস্তান। সুযোগ তৈরি করতে না পারায় গোলের দেখাও পায়নি দলটি। ফলত ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ অ-১৬ ফুটবল দল।
৭২ তম মিনিটে বড় বিপদ থেকে বেঁচে যায় পাকিস্তান। লেফট উইং থেকে বাংলাদেশের খেলোয়াড় ক্রস করলে বক্সের ভেতরে থাকা তার সতীর্থ খেলোয়াড়েরা বল পাওয়ার আগেই পাকিস্তান গোলরক্ষক এগিয়ে এসে লাফিয়ে বলকে ফিরিয়ে দিলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় পাকিস্তান।
৮৮ মিনিটে ম্যাচে ফেরার কিছুটা সুযোগ পেয়েছিলো পাকিস্তান। ফারাজ আহমেদের ফ্রি কিক থেকে দলের অন্য খেলোয়াড় বক্সের বাইরে থেকে বক্সের ভেতরে ঢুকে হেড করলেও বল গোলপোস্টের অনেকটা বাইরে দিয়ে গোললাইন অতিক্রম করলে সমতা ফেরা আর হয়ে উঠে না পাকিস্তানের জন্য।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করার সময়ের ষষ্ঠ মিনিট লিড বাড়াতে পারতো বাংলাদেশ। পাকিস্তানের রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে যায় সালাউদ্দিন শাহেদ। তিনি বল নিয়ে এগিয়ে গেলে বল ফাইনাল ফিনিশিংয়ের আগেই আটকে দেন পাকিস্তানের গোলরক্ষক। এতে ২-১ গোলে ম্যাচ শেষ হলে। সেমিফাইনাল থেকে ফাইনালের টিকেট পেয়ে বাংলাদেশ।