পরতে পরতে চমক আর রঙবদলের ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের নাটকীয়তায় জয় পেয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। আজ ফেডারেশন কাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি এবং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বিকাল ৪:৩০ টায় মাঠে গড়ায় ম্যাচটি।
ম্যাচের ২৮ মিনিটে ফিলিপ আদজার গোলে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। শেখ রাসেলের খেলোয়াড় এল্টন মাসাদো থেকে বল কেড়ে নেন ফজলে রাব্বি। ফজলে রাব্বি বল বাড়ান সানডে চিজোবার কাছে। চিজোবার থ্রু পাসে বল পেয়ে যান ফিলিপ আদজা। আদজা বল নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে এক জোরালো শটে বলকে জালে পাঠিয়ে দেন।
৪৩ মিনিটে একেবারে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন রহমতগঞ্জের আক্রমণভাগ। শেখ রাসেলের আইজার আহমেদোভের ভুলে বল দখলেনেন রহমতগঞ্জের ফিলিপ আদজা। সেখানে থেকে সরাসরি গোলে শট নেন তিনি। কিন্তু গোলরক্ষক আশরাফুল রানা তা ঠেকিয়ে দেন। ফিরতি বলে শট নেন সানডে চিজোবা, তাতেও আশরাফুল রানার বাধা। এবার ফিরতি বল পেয়ে যায় এনামুল ইসলাম। এনামুল শট নিলে বল ক্লিয়ার করে দেন সাদউদ্দিন। মিনিট তিনেক পর রহমতগঞ্জ আবারো গোলের সুযোগ পায়। কাউন্টার এটাক থেকে তৈরী হওয়া সে সুযোগ আর হাতছাড়া করেননি ফিলিপ আদজা। এতে করে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় শেখ রাসেল। ৬৩ মিনিটে থিয়াগো এডওয়ার্ডের দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক গোল থেকে লড়াই ফিরে শেখ রাসেল। ম্যাচের ৮১ মিনিটে বক্সের ভেতর শেখ রাসেলের ইসমাইল রুডিকে ফাউল করে রহমতগঞ্জের সিউভোস আশ্রোরভ। এতে করে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল। পেনাল্টির স্পট কিক থেকে গোল করেন আইভার আহমেদোভ এবং সমতায় ফিরে শেখ রাসেল। ২ মিনিট পর এল্টন মাসাদাওর গোলে পিছিয়ে পড়া ম্যাচে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল।
কিন্তু লিড বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারে নি শেখ রাসেল। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবার গোলে সমতায় ফিরে রহমতগঞ্জ। এতে করে ম্যাচে ৩-৩ গোলে সমতা আসে। নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সবাই যখন ধরে নিয়েছিলো ম্যাচের ফলাফল টাইব্রেকারে নির্ধারণ হবে তখনই ঘটে চমক। রহমতগঞ্জের ফরোয়ার্ড খন্দকার আশরাফুল ইসলাম দলের জন্যে চতুর্থ গোলটি এনে দেন। ফলে ম্যাচে স্কোরশিটে ৪-৩ গোলে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। শেষ সময় শেখ রাসেল গোল শোধ করতে না পারলে রোমাঞ্চকর এক জয় পায় রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। এই জয় দিয়ে সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নেয় পুরান ঢাকার এই দলটি।