অশনী সংকেত ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে। রাজনৈতিক পালাবদলের প্রভাব পড়েছে দেশের ফুটবলেও। গুঞ্জন রয়েছে আগামী মৌসুমে হয়তো বিপিএল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র এবং শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এতে করে বিপদে পড়েছে ক্লাব গুলোর সাথে থাকা চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়গণ।

এই মৌসুমে দলবদলের শেষ সময় ছিলো ১৯ আগষ্ট; এরপর তিনদিন বাড়িয়ে ২২ শে আগষ্টে নিয়ে যাওয়া হয়। দলবদলের এই শেষ মুহুর্তে এসে পুরোপুরি উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করেছে শেখ জামাল ও শেখ রাসেল। ক্লাব দুইটি বাফুফেকে ইস্তফা দেওয়ার আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি না পাঠালেও তাদের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় দের ফোনকল করে জানিয়ে দিয়েছে তারা বিপিএল থেকে সরে এসেছে, এমনটাই দাবি করেছে উক্ত দলের খেলোয়াড়রা।

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব তাদের খেলোয়াড়দের ইতিমধ্যে ফোনকলের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে তারা এবারের বিপিএলে অংশ নিচ্ছে না। শেখ রাসেল এমনটা না করলেও তাদের ক্লাব কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছে তারা বিপিএল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

শেখ জামাল ও শেখ রাসেলের মতো চট্টগ্রাম আবাহনীরও দল গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এতে করে প্রায় একশোর মতো খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়তে পারে। দলগুলো যদি বিপিএল থেকে সরে আসে, তাহলে তাদের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়রা এই মৌসুমে আর কোনো দল পাবে না।

এমন অবস্থায় একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে খেলোয়াড়েরা। তাই এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য খেলোয়াড়রা বাফুফে ভবনে গিয়ে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়ে বাফুফে প্রেসিডেন্টের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে এসেছে। এই দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম দাবি হলো এবারের মৌসুম বিদেশী খেলোয়াড় ছাড়া করতে হবে, দলগুলোর সব খেলোয়াড়ই দেশীয় হতে হবে।

তারা নতুন করে দলবদলের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। দলবদল বৃদ্ধি নিয়ে মুখ খুলেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। তুষার বলেন, “আমরা একাধিক চিঠি দিয়ে ফিফার কাছে দলবদলের সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছিলাম। ফিফা আমাদের জানিয়ে দিয়েছিল বৃদ্ধি সম্ভব না। পরের আরেকটি চিঠি দিয়ে আমরা বলেছিলাম, প্রথম উইন্ডোর ১২ সপ্তাহের মধ্যে আরো ৫ দিন আমােদের হাতে ছিল, সে সময়টুকুও দেওয়া যায় কিনা। ফিফা ৫ দিন বাড়ায়নি, বাড়িয়েছে ৩ দিন। এখন দলবদলের প্রথম উইন্ডো শেষ হবে ২২ আগস্ট। আমরা সেটা ক্লাবগুলোকে অবহিত করেছি। আর আগামীকালের মধ্যে খেলোয়াড়দের প্রতিনিধিসহ ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আমরা যোগাযোগ শুরু করেছি।”

বাফুফে প্রেসিডেন্টের প্রতি খেলোয়াড়দের অন্য দাবিগুলো হলো- সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, যে ক্লাবগুলো বিপিএল তাদের কার্যক্রম চালাবে না বলে নিশ্চিত করেছে তাদের খেলোয়াড়দের দায়িত্ব গ্রহণ, দায়াসারা লীগ পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকা, ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকদের ধরে রাখা এবং আগামী রবিবারের মধ্যে ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে সকল খেলোয়াড়ের আলোচনা সভার আয়োজন করা।

Previous articleএএফসিতে বিলুপ্ত বিদেশি কোটা!
Next articleদায়িত্ব নিয়ে ব্রাদার্সকে পুরোনো রূপে ফেরানোর আশ্বাস ইশরাকের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here