বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ম্যাচের আগে সেই অর্থে কোনো অনুশীলন ম্যাচ খেলা হচ্ছে না জামালদের। আজ অনুশীলন শেষে বেশ হতাশাই প্রকাশ করলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, ‘সৌদি আরব না যেতে পেরে খেলোয়াড়রা তো হতাশই। আফগানিস্তান ম্যাচ খেলছে। ভারত কাতারে ম্যাচ খেলছে। ওরা তো অনেক আগে পরিকল্পনা করছে, খেলছে। আমরা তো এখনো পরিকল্পনার মধ্যেই রয়েছি।’
আমাদের সেখানে ভরসা এখন ঘুরে ফিরে ক্লাব দল।ক্লাব দলগুলোর চেয়ে বিদেশি কোনো দলই অনুশীলন ম্যাচের জন্য ঢের ভালো সেটা অকপটে বললেন জামাল, ‘আমরা আগে বিদেশি দলগুলোর সঙ্গে খেলেছি। বিদেশি দলগুলোর সঙ্গে খেললে ভালো।’
ক্যাম্প শুরুর প্রথম দিন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আফগানিস্তান ও ভারতের বিরুদ্ধে জেতার আশাবাদ ব্যক্ত করছিলেন। সেই আশাবাদ আজ সেভাবে ব্যক্ত করতে পারেননি জামাল। আফগানিস্তান ও ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতা সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে অনেকক্ষণ নিশ্চুপ ছিলেন অধিনায়ক, ‘আগে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলি। তার পর দেখা যাক কোথায় ঘাটতি আছে।’
সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বিদেশি কোনো দল বা দেশের সঙ্গে জামালদের খেলার সম্ভাবনা খুবই কম। দেশি কোনো ক্লাব বা বিদেশি একাদশের সঙ্গেই খেলতে হবে। এমন অনুশীলন ম্যাচ খেলে কি আফগানিস্তান বা ভারতকে হারানো সম্ভব ? এমন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় উল্টো অধিনায়ক প্রশ্ন রেখেছেন, ‘এটা কি প্লেয়ারদের দোষ? ফুটবলারদের দোষ না অবশ্যই। যারা ম্যাচ আয়োজন করে তারাই ভালো বলতে পারবে।’
বাফুফে কোচের চাহিদা মতো চেষ্টা করেছিল সৌদি আরবে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলানোর। কোয়ারেন্টাইন জটিলতায় সেই ম্যাচের আশা নেই বললেই চলে । এই প্রসঙ্গে অধিনায়ক বলেন, ‘সৌদি আরব তো যাওয়া হচ্ছে না। এখন এখানেই অনুশীলন করতে হবে।’ অধিনায়ক সরাসরি সৌদি যাওয়া হচ্ছে না জানালেও ফেডারেশন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি।
ক্লাব দলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচকে মন্দের ভালো হিসেবে দেখছেন মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ, ‘সৌদি আরব অথবা বাইরে খেলতে পারলে ভালো হতো। আমাদের জানানো হয়েছে এখানে ম্যাচ আয়োজন হবে। সেটাও অনেকটা কাজে দেবে। আমরা নিজেদের অবস্থান অন্তত বুঝতে পারব।’