অনেকদিন যাবত দেশের মাঠে নেই ফুটবল। করোনা ভাইরাসে শঙ্কা মাথায় নিয়েই সতর্কতা অবলম্বন করে ইউরোপে খেলা মাঠে গড়ালেও বাংলাদেশে লীগ স্থগিত করে দেয়া হয়। ফলে চার মাস যাবত মাঠের বাইরে ফুটবলাররা। কিন্তু আগামী মাসে অনুশীলনে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচকে সামনে রেখে ৭ আগস্ট ক্যাম্পে যোগ দিবেন ফুটবলাররা।
মাঠে ফিরতে পারবে জেনে খুশি জাতীয় দলের মিডফিল্ডার সোহেল রানা। মুঠোফোনে অফসাইডকে তিনি জানান, ‘আমরা চারমাস পরে মাঠে ফিরতেছি এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। আমরা মাঠের মানুষ, মাঠে ফিরতে পারলেই খুশি।’ বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠে ফেরাটা আরো বেশি জরুরী মনে করছেন সোহেল, কারণ এটি ফিরলেই ঘরোয়া ফুটবলও মাঠে ফেরার বিষয়টি জোরালো হবে, ‘খেলা মাঠে ফিরলে লিগের বিষয়েও আলোচনা জোরালো হবে। এতে দ্রুত ঘরোয়া ফুটবল মাঠে গড়াতে পারে।’
ঢাকা থেকে কিছুটা দূরের একটি রিসোর্টে জাতীয় দলের ক্যাম্প হবে। পুরো রিসোর্টটিই ভাড়া নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আছে জিম ও সুইমিংপুলের সুবিধাও। তবে এই জায়গাটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো নিরাপত্তার বিষয়টি। বাফুফের ক্যাম্পের ভেন্যু নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘ঢাকার বাহিরে বাফুফে আমাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই ক্যাম্পের ব্যবস্থা করেছে। এটাকে আমি স্বাগত জানাই। ওখানে শুধু খেলোয়াড়রা থাকবে এজন্য কোন সমস্যা হবেনা আশাকরি। ভালো পরিবেশে নিরিবিলি আমরা প্র্যাকটিস করতে পারবো।’
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন প্রতিপক্ষরা শক্তিশালী হওয়ায় শেষ চার ম্যাচে ড্র করে অন্তত চারটি পয়েন্ট অর্জন করতে চান তিনি। বাস্তবিক দিল চিন্তা করলে আসলেই হয়তো জয় পাওয়া কঠিন হবে বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু সমালোচনা হয়েছে এই বাছাই পর্বে চারটি ম্যাচ কিছুটা ভালো খেলেও কেন জয়ের মানসিকতা গড়ে উঠছে না। কোচ জয়ের কথা না বললেও ফুটবলাররা ঠিকই ভাবছেন জয়ের বিষয়ে। ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলোয়াড়রা জয় চায়। সোহেল রানাও দুই ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করতে চান, ‘আমরা সামনের ম্যাচগুলোর ভেতর অন্তত দুইটা ম্যাচ জিততে চাই।’
অক্টোবরের ৮, নভেম্বরের ১২ ও ১৭ তারিখে বাংলাদেশের তিনটি হোম ম্যাচ যথাক্রমে আফগানিস্তান, ভারত ও ওমানের সঙ্গে। অ্যাওয়ে ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে কাতারে ১৩ অক্টোবর।