গতবারের মতো প্রিমিয়ার লীগ থেকে অবনমিত হয়েছে দুই দল। দল দুইটি হলো উত্তর বারিধারা ক্লাব ও স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। গতবার একটুর জন্যে অবনমন থেকে রক্ষা পেলেও এবার আর রক্ষা পায়নি উত্তর বারিধারা ক্লাব। অন্যদিকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্সশীপ লীগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২১-২২ মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলো স্বাধীনতা ক্রীড়া চক্র। কিন্তু নবাগত দল হিসেবে প্রিমিয়ার লীগ খেলতে এসে অবনমিত হয়ে পুনরায় আবার চ্যাম্পিয়ন্সশীপ লীগেই ফিরে গেলো স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ।
স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের প্রিমিয়ার লীগের শুরুটা হয়েছিলো শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মতো রঙ্গিন। প্রথম ম্যাচেই তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছিলো। কিন্তু এরপর পরই যেনো হারিয়ে যায় স্বাধীনতার ক্রীড়া সংঘের ম্যাচ জয়ের স্বাধীনতা। পরাজয়ের বেড়াজালে আটকে পড়ে, ম্যাচ ড্র করতেই যেনো প্রাণ বের হওয়ার মতো অবস্থা। প্রথম লেগের ১১ ম্যাচের মধ্যে ৭ টিতেই পরাজিত হয়েছিলো স্বাধীনতা ক্রীড়া চক্র। ফিরতি লেগে তা আরো চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। ফিরতি লেগের ১১ ম্যাচের স্বাধীনতার পরাজয় ৯ ম্যাচে।
উত্তর বারিধারা ক্লাবের ক্ষেত্রে লীগের শুরুটা হয়েছিলো ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে পরাজয় দিয়ে। লীগে তারা প্রথম জয় পায় নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ। সেই ম্যাচে তারা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে ২-১ গোলে হারায়। স্বাধীনতা ক্রীড়া চক্রের মতো পরাজয়ের খাতা বড় হলেও জয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার চেয়ে তুলনামূলকভাবে খানিকটা এগিয়ে ছিলো উত্তর বারিধারা ক্লাব। লীগে ২২ ম্যাচে স্বাধীনতার জয় ছিলো মাত্র ২ ম্যাচে, বিপরীতে উত্তর বারিধারা ক্লাবের জয় ৩ ম্যাচে।
প্রিমিয়ার লীগের এবারের আসরে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ অর্ধশতবার গোল হজম করেছে, প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছে ২২ বার। প্রতিপক্ষ দলগুলো উত্তর বারিধারা ক্লাবের জালে জড়িয়েছে ৫৮ বার,বিপরীতে প্রতিপক্ষ দলগুলোকে ২৪ বার গোল দিয়েছে। এবারের বিপিএলে স্বাধীনতা সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে। উক্ত দুইদলের কাছে স্বাধীনতা ৫-১ গোলে পরাজিত হয়েছে। উত্তর বারিধারা ক্লাব আসরে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের শিকার হয়েছিলো সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৭-০ গোলের ব্যবধানে। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় স্বাধীনতার ক্রীড়া সংঘের হয়ে সবচেয়ে গোলদাতা বসনিয়ান ফরোয়ার্ড নেদো তুর্কোবিচ এবং উত্তর বারিধারার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা উজবেক মিডফিল্ডার কোচনেভ ৪ গোল করে যৌথভাবে ১৩ তম স্থানে আছে।