অবনমন ঠেকানোর লড়াইয়ে এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম আবাহনী। লিগ টেবিলে বিপদজনক জায়গায় থাকা চট্টলার দলটি আজ মুখোমুখি হয় আরেক অবনমন ঠেকানোর লড়াইয়ে থাকা পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির। ম্যাচটি ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় ইয়াসিন খানের দল।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যাচের শুরুতে লিড নেয়। দলটির নতুন বিদেশী নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড পল সেনের গোলে ম্যাচের ১৫ মিনিটে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম। প্রথমার্ধ এক গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ায় চট্টলার দলটি। ৪৮ মিনিটে রায়হান হাসান ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে ব্যবধান কমায় রহমতগঞ্জ। পেনাল্টি স্পট থেকে রহমতগঞ্জের বুয়েটাংয়ের শট আশ্রয় নেয় চট্টগ্রাম আবাহনীর জালে। এরপর আর কোন গোল না হলে বিপিএল এ টিকে থাকার লড়াইয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি জিতে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী।
১২ ম্যাচ শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে রহমতগঞ্জকে টপকে টেবিলের ৭ নম্বরে অবস্থান করছে চট্টগ্রাম আবাহনী। সমান ম্যাচে রহমতগঞ্জের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। তাদের অবস্থান ৯ এ। অন্যদিকে অবনমন ঠেকানোর লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছে শক্তিশালী শেখ রাসেল কেসি’র নাম। ভালো দল করেও এবার জয়ের দেখা পাচ্ছে না তারা। ১১ পয়েন্ট নিয়ে তারা ৮ম স্থানে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে পিছিয়ে গেল দলটি।
লিগের শুরুতে অবশ্য সবাইকে চমকে দিয়েই শুরু করেছিলো রহমতগঞ্জ। টানা ৭ টি ম্যাচ ড্র করে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের সাথে গিয়ে তাদের ঐ অপরাজিত থাকায় রেকর্ড ভাঙ্গে। ৭ ম্যাচে ড্রয়ে আনন্দের চেয়ে হয়তো দুঃখই বেশি রহমতগঞ্জের। কেননা অনেকগুলো জিততে থাকা ম্যাচই ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। এতে লিগের দ্বিতীয় ভাগে এসে এখন তাদের লড়াই করতে হচ্ছে অবনমন ঠেকানোর। নাহয় জায়ান্ট কিলার খ্যাত দলটি সেরা ৫ এ অবস্থান করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না।