করোনা মহামারীর পর আগামী ১৯ ডিসেম্বর ফেডারেশন কাপের মধ্য দিয়ে আবারো মাঠে ফিরছে দেশের ঘরোয়া ফুটবল। দলবদল প্রায় সম্পন্ন করে প্রতিটি দলই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ভিন্নতা ছিলো না বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেসি’র ক্যাম্পেও। কিন্তু হঠাৎ অর্থ সংকটের কথা বলে দুদিন আগে দলের খেলোয়াড়দের ক্লাব কর্তারা জানান, এই বছর মুক্তিযোদ্ধা ফুটবলে অংশগ্রহন করবে না। খেলোয়াড়দের অন্য দল দেখার জন্যও বলেন তারা।
শেষ সময়ে এসে ক্লাবের এই ধরনের সিদ্ধান্তে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে ফুটবলারদের। বিষয়টি শুধুমাত্র ৩০ জন ফুটবলারের নয়, তাদের সাথে তাদের পরিবারের সকলকেই এই সিদ্ধান্তের ফল ভোগ করতে হবে। উপায় না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন ক্লাবের কর্মকর্তা ও ফুটবলাররা। তিনি কিছুটা আশ্বাস দিয়েছেন, তবে হিসেব চেয়েছেন গত মৌসুমে দেয়া তিন কোটি টাকারও।
বিষয়টি সত্য যে ক্যাসিনো থেকে বড় একটি অর্থ দল পরিচালনার জন্য পেত মুক্তিযোদ্ধা এসকেসি। তবে ক্যাসিনো বন্ধের পর থেকে বড় বিপাকে পড়তে হয়েছে তাদের। ফান্ড সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়াতেই দল না রাখার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাবটি।
মুজিব শতবর্ষ ও দেশের স্বাধীনতার ৫০ তম বছরের পূর্বলগ্নে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির এই ক্লাবটি আজ অর্থ সংকটে দল গড়তে চাচ্ছে না বিষয়টি লজ্জার পাশাপাশি অনেক বেশি ভাবনার। কিছুদিন আগেই ফুটবল থেকে সরে দাড়ায় বিজেএমসি। একই পথে মুক্তিযোদ্ধাও নয়তো?