গত এএফসি কাপে মোহনবাগানের কাছে ৪-০ তে হেরেছিলো বসুন্ধরা কিংস। অতঃপর গতকান যেন সেই হারের প্রতিশোধটিই নিলো অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। ঘরের মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় পূর্ণশক্তির মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে ২-০ তে হারিয়ে অবিস্মরণীয় এক জয় তুলে নেয় তারা।
কিংসের জয়ের পেছনের খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফসহ সকলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে গুরু অস্কার ব্রুজনের অবদানটা হয়তো একটু বেশী। শিষ্যরা গুরুর দীক্ষাতে মেরিনার্সদের বধ করেছে। তাই এই জয়ের পর নিজেদের শিষ্যদের সাধুবাদ জানাতে ভুলেন নি এই স্প্যানিশ কোচ। তিনি বলেন, “অবিশ্বাস্য জয়। কিংসের সেরা ম্যাচ। এমন একটা জয়ই চেয়েছিলাম। ছেলেরা সবাই দারুণ খেলেছে৷ পরের দুই ম্যাচেও এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে।”
ম্যাচে জয় পেলেও প্রথমে গোল হজম করতে হয়েছে কিংসকে। দলের সেই ভুল নির্দ্বিধায় স্বীকারও করেছেন অস্কার এবং পরবর্তীতে ভুল গুলো যাতে না ঘটে সেটি কাজ করবেন বলেও জানান, “আমরা জিতলেও ভাবনার ব্যাপার হচ্ছে, শুরুতে গোল হজম করছি। এটা থেকে যত দ্রুত সম্ভব বের হতে হবে। এ নিয়ে আরো কাজ করব সামনের দিনগুলোতে।”
একটি পেছনে মাঠের এগারোজনের প্রত্যেককে সর্বোচ্চটা দিতে হয়, তাহলেই শুধুমাত্র কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পায় কোনো দল। কিংসও সেই ঘটনার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। এমনটাই মনে করছেন কিংসের অধিনায়ক রবসন রবিনহো, “আমরা প্রথমার্ধের চেয়েও দ্বিতীয়ার্ধে বেশি ভালো খেলেছি। সবাই মাঠে নিংড়ে দিয়েছে। এই স্পৃহা পরের দুই ম্যাচে অবিশ্বাস্যভাবে কাজে দেবে।”
উত্তেজনাপূর্ন এই ম্যাচে শুরু থেকে উত্তাপ ছড়িয়েছে। ক্লাবের গন্ডি ফেরিয়ে এই লড়াই ঠেকেছিল দুই বাংলার লড়াইয়ে। ম্যাচে উত্তাপ ছড়ালেও মাঠে কিংসের পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে মোহনবাগানের কোচ জোহান ফার্নান্দোকেও। ম্যাচ শেষে তা অকপটে বলেছেন তিনি, “কঠিন ম্যাচ ছিল। ছেলেরা চেষ্টা করেছে। প্রতিপক্ষ ভালো খেলেছে বলেই আমরা হেরেছি।”