বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে নিজেদের যাত্রা শেষ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও লেবানন। ঘরের মাঠে আগামীকাল শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে জামাল ভূঁইয়ারা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ১৬০ ধাপ এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। সকারুদের অবস্থান যেখানে ২৪ সেখানে বেঙ্গল টাইগাররা রয়েছে ১৮৪তম স্থানে! আর এতেই দুই দলের ব্যবধান স্পষ্ট। তারপরও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে চায় বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে কোচ ও অধিনায়ক সেই বার্তাই দিলেন।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ঘরের মাঠে দর্শকরা বাংলাদেশের বড় শক্তি এবং তাদের সমর্থনে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল উল্লেখ করে কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন,
‘এটা শুধু আমাদের জন্য নয় সমর্থকরাও অপেক্ষা করে আছে। সবাই ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা নিজেদের মাঠে অনেকটাই শক্তিশালী। তা সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই। সুতরাং আমরা তৈরি খেলার জন্য।’
গত নভেম্বরে মেলবোর্নে প্রথম লেগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে রীতিমত উড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে বাংলাদেশের জালে ৭ বার বল পাঠায় সকারুরা। তবে ঘরের মাঠে বড় হারের সম্মুখীন হতে চায় না বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানানোর লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে ক্যাবরেরা বলেন,
‘মেলবোর্নের ম্যাচের তুলনা করলে কাল আমরা উন্নতি করতে চাই। আগে যা করেছি তার চেয়েও। যদিও সেখানে ইতিবাচক মুহূর্ত ছিল। তবে আমাদের ভুগতে হয়েছে নানান কারণে। এবার আগেই আমরা গোল হজম করতে চাই না। নিজেদের মাঠে নিজেদের খেলাটা খেলতে চাই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। কঠিন ম্যাচে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে চাই। অস্ট্রেলিয়ার জন্য ম্যাচটা কঠিন করতে চাই।’
এশিয়ান ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে পরিচিত অস্ট্রেলিয়া। এশিয়া তো বটেই বিশ্ব ফুটবলেও নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে তারা। তবে ঘরের মাঠে খেলা বলেই আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। আর সে আত্মবিশ্বাস থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার আশা ক্যাবরেরার,
‘আমরা বিশ্বাস করি মানসিকভাবে লড়াই করতে পারবো। আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে, মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। ম্যাচে অনেক কিছু হতে পারে। তবে আমরা শুরুতেই গোল হজম করবো না। জেতার জন্য সুযোগ পাবো। আমাদের লড়াই করতে হবে। জানি ম্যাচটি কতটা চ্যালেঞ্জিং। আশা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো।’
কোচের সঙ্গে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কন্ঠেও আশার বাণী। ঘরের মাঠে খেলা বলেই সেই আত্মবিশ্বাসটুকু পাচ্ছেন জামাল। তার কথায় ৭ গোল হজম করা ছিল ‘মিস্টেক‘। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে জামাল বলেন,
‘ওখানে (মেলবোর্নে) আবহাওয়া প্রতিকূল ছিল। অনেক ঠাণ্ডা ছিল, সবাইকে হাতে গ্লাভস পরে খেলতে হয়েছিল। এছাড়া ৭-০ গোলে হারটি ছিল একটা মিস্টেকের মতো। এখানে নিজেদের মাঠে খেলা। সমর্থক থাকবে, পরিবারের সদস্যরা থাকবে। এখানে আমরা নিজেদের মেলে ধরতে চাই।’