অ-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে অ-১৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা লড়াইয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু নেপালের পুনরাবৃত্তি ভুটানে হয়নি। ফাইনালে ভারতের কাছে ২-০ গোলে হেরে রানার্স আপ হয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

ফাইনালের আগে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ খেলা এবং শিরোপা জয়ের লক্ষ্যের কথা জানান বাংলাদেশ কোচ সাইফুল বারী টিটু। কিন্তু মাঠের খেলায় তার শিষ্যরা হতাশ করেছেন। থিম্পুতে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে ভারতীয় ফরোয়ার্ড লাইরেঞ্জামের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ১৪তম মিনিটে প্রথম ভালো আক্রমণ করে বাংলাদেশ তবে ইকরামুল ইসলামের শট আটকে দেন ভারতীয় গোলকিপার। এরপর ৩০তম মিনিটে বক্সের ঠিক ওপরে ফ্রি কিক পায় ভারত। লেভিস জ্যাংমিনলুনের শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে যায়।

গোলশূন্য সমতায় প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও একই তালে চলতে থাকে খেলা। ভারত আধিপত্য বিস্তার করলেও বাংলাদেশ রক্ষণ দৃঢ়তা দেখায়। কিন্তু ৫৭তম মিনিটে আর ভারতকে আটকে রাখা যায়নি। কর্নার কিক থেকে হেডে বাংলাদেশ গোলকিপার নাহিদের প্রতিরোধ ভাঙেন মোহাম্মদ কাইফ। ৬৭তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল বদলি নামা জয় আহমেদের সামনে। সতীর্থের থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে তিনি শট নেওয়ার আগেই পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে স্লাইডে ক্লিয়ার করেন ভারতীয় গোলকিপার।

এরপর সময় যত গড়াতে থাকে, বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর আশাও তত মলিন হতে থাকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে শেষ মুহূর্তে সমতা ফিরিয়ে টাইব্রেকারে জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এবার যোগ করা ছয় মিনিট অতিরিক্ত সময়ে আর চমক দেখাতে পারেনি তারা। বরং অন্তিম মুহূর্তে আবারও গোল হজম করে বাংলাদেশ। বক্সের ওপরে জায়গা করে নিয়ে দৃষ্টিনন্দন শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোহাম্মদ আরবাস। আর এতেই নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের শিরোপা জয়।

গ্রুপ পর্বে এই ভারতের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে তাই তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল যুবাদের। একইসঙ্গে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে টানা দ্বিতীয় সাফের শিরোপা ঘরে তোলার সুযোগ ছিল। কিন্তু দিনশেষে ফাইনাল হারের হতাশা নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে।

Previous articleসালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে বাফুফের শেষ সভা বৃহস্পতিবার
Next articleবাফুফেতে জমা পড়েছে ১৩৭ জন ডেলিগেটের নাম!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here