এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ঘরের মাঠে শুভসূচনা করলো বাংলাদেশ। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার তুর্কমেনিস্তানকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকে বাংলাদেশ। খেলাও হতে থাকল তুর্কমেনিস্তানের অর্ধে। কিন্তু ইরান ম্যাচে দারুণ কিছু সেভ করা গোলরক্ষক আমানবেরদিয়েভা আয়েশার তেমন কোনো পরীক্ষাই নিতে পারছিলেন না আকলিমা-আইরিনরা। অষ্টাদশ মিনিটে আইরিন খাতুনের দূরপাল্লার শটে গতি ছিল না। বল সোজা যায় গোলরক্ষক বরাবর। দুই মিনিট পর রক্ষণের ভুলে বক্সে বল পেয়ে যান আকলিমা খাতুন। কিন্তু বক্সে ওয়ান-অন-ওয়ান পজিশনে গোলরক্ষকে পেয়েও দুর্বল শটে হতাশা বাড়ান এই ফরোয়ার্ড।
৩৭তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে ওঠেন তাগানোভা শাসেনেম। রক্ষণের বাধা পেরিয়ে তুর্কমেনিস্তানের এই ফরোয়ার্ড পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা রুপনা চাকমাকে একা পেয়ে যান। তার শট আটকে বাংলাদেশের ত্রাতা গোলরক্ষক। বাংলাদেশের চাপ সামলে এটাই ছিল তুর্কমেনিস্তানের প্রথম আক্রমণ। অবশেষে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে স্বস্তির হাসি হাসে দল। স্বপ্না রানীর কর্নার আয়েশা ফিস্ট করলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বক্সে জটলার ভেতর থেকে নিখুঁত টোকায় দলকে এগিয়ে নেন আকলিমা।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৭১তম মিনিটে ডান দিক থেকে ইতি খাতুন বক্সে ক্রস বাড়ান, নিখুঁত ফ্লিকে গোলমুখ থেকে জাল খুঁজে নেন আকলিমা। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও বিবর্ণ ফুটবল খেলা বাংলাদেশের ডাগআউট নেচে ওঠে ব্যবধান দ্বিগুণের আনন্দে। এরপর ৮০তম ও ৮১তম মিনিটে জোড়া গোলে বড় জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। ৮০তম মিনিটে ইতি খাতুনের ক্রসে বক্সের ভেতরে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন স্বপ্না রানী। পরের মিনিটেই বক্সের বাইরে থেকে স্বপ্নার জোরাল শট তুর্কমেনিস্তানের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে কিছুটা দিক পাল্টে জড়িয়ে যায় জালে।
‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আগামী রোববার ইরানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একটি করে জয়ে দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে ইরান। ইরানের বিপক্ষে ম্যাচে জয় পেলে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।