আজ (বুধবার) সভায় বসেছিল বাফুফের ন্যাশনাল টিমস কমিটি।অনলাইনে হওয়া সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে শুরুতে ৪৪ জন খেলোয়াড়কে প্রাথমিকভাবে ডাকা হবে। আর সবারই কোভিড-১৯ টেস্ট শেষে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দ্রুত দল গোছানো হবে। এ সময়ে সবাইকে আইসোলেশনেও থাকতে হবে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে হবে মূল ক্যাম্প।
সভা শেষে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ জানিয়েছেন, ‘আমরা আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ক্যাম্পের প্রক্রিয়া শুরু করব। এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তাই ধাপে ধাপে খেলোয়াড় ডেকে তাদের সবাইকে করোনাভাইরাস টেস্ট করানো হবে। এজন্য আমরা ৪৪ জন খেলোয়াড় ডাকব। তারপর সবার টেস্ট করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৩৫ বা ৩০ জনে দল নামিয়ে আনা হবে।’
কাজী নাবিল আহমেদ আরো বলেছেন, ‘কমপক্ষে ৬ সপ্তাহ আগে ক্যাম্প করতে হলে আগস্টের ২০ কিংবা ২২ তারিখে তা শুরু করতে হবে। শুরু করার আগে সব খেলোয়াড়দের ধাপে ধাপে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষা হবে কোচিং স্টাফদেরও। এরপর আইসোলেশনে থাকতে হবে। বিদেশি কোচিং স্টাফরা দেশে ফিরলে তাদেরও আইসোলোশনে থাকতে হবে। দেখতে হবে তারা সকলেই করোনা মুক্ত আছে কিনা। এর পর আগস্টের শুরুতে প্রাথমিক ক্যাম্প শুরু হবে।’
জেমি ডে’র সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি শুরু হবে ১৬ আগস্ট থেকে। তিনি আগস্টের মাঝামাঝিতেই আসবেন। কোচের প্রস্তাব ছিল দেশের বাইরে কোথাও ক্যাম্প করার। এ বিষয়ে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘ক্যাম্প দেশের বাইরে হওয়াটা নির্ভর করছে ওই সময়ের সার্বিক অবস্থার ওপর। আমরা কোন দেশে ক্যাম্প করতে চাইলে সেই দেশ আমাদের নেবে কি না, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বিষয়ও আছে- এসব কিছু বিবেচনা করেই দেশের বাইরে ক্যাম্প হবে কি না- সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
ঠিকভাবে দলকে প্রস্তুত করলে প্রস্তুতি ম্যাচের বিকল্প নেই। সেটি নিয়েও কথা হয়েছে সভায়।‘প্র্যাকটিস ম্যাচের বিষয়টাও তাই। কোন দলকে আমন্ত্রণ করলে তারা বাংলাদেশে এসে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলবে কি না, আমাদের হোস্ট কর বে কিনা তার ওপর নির্ভর করবে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের আগে প্র্যাকটিস ম্যাচ সম্ভব কি না’, এমনটা জানিয়েছেন কাজী নাবিল।