সীতাকুণ্ডের সর্বগ্রাসী আগুন কেড়ে নিয়েছে অনেক তাজা প্রাণ। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন শতাধিক মানুষ। শনিবার রাত থেকে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ঘটা মর্মান্তিক এই অগ্নিকাণ্ডে সাধারণ মানুষের মতো দেশের অ্যাথলেটরাও শোকাহত, যার থেকে বাদ যাননি দেশের ফুটবলাররাও। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে অংশ নেওয়ার জন্য মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফুটবলার, কোচ এবং কর্মকর্তাগণ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত সকলে পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও মৃতদের আত্মার প্রতি দোয়া ও মাগফেরাত কামনা সহ আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব সামনে রেখে আরো একটি ব্যস্ত দিন পার করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। রোববার সকালে টিম হোটেলে টিম মিটিং, জিম ও সুইমিং সেশনের পর স্থানীয় সময় বিকাল ০৫.০০ টা থেকে ০৬.৩০ টা পর্যন্ত পিকেএনএস স্পোর্টস গ্রাউন্ড অনুশীলন সেশন সম্পন্ন করে হাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় দলের অনুশীলনে রক্ষণ নিয়ে বেশি কাজ করা হচ্ছে বলে জানান ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। এছাড়া ইনজুরিতে দলের সেরা ফুটবলারদের না থাকা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে যারা দলে আছে তাদের প্রতি বিশ্বাস রেখে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই ডিফেন্ডার, “আপনারা জানেন আমাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন ফুটবলার ইনজুরির কারণে এখানে আসতে পারেনি। তারপরও এখানে যারা আছে তারা কারো চেয়ে কেউ কম না। আমরা যখন মাঠে নামবো তখন কে আছে কে নেই সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনো কারণ নেই। সবাই সেরাটা দিতে পারলে ভালো কিছু বয়ে আনা সম্ভব।”
দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলিও বিশ্বনাথের সুরে সুর মিলিয়ে দলীয় শক্তিতে আস্থা রাখছেন। এর আগে হাভিয়ের ক্যাবরেরাও বহুবার বলেছেন দলগতভাবে রেংকিংয়ে এগিয়ে থাকা দলের বিরুদ্ধে লড়ে যেতে চান। সব মিলিয়ে ফলাফলের কথা চিন্তা না করে দলগত ভাবে লড়াই করে যাওয়াই বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামীকাল প্রথমবারের মতো ম্যাচ ভেন্যু বুকিত জালিল স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ। এখানেই আগামী ৮ জুন শক্তিশালী বাহরাইনের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে জামাল ভুঁইয়ারা।