বাংলাদেশ হলো এমন একটি দেশ যেখানে দু’দিন পরপর নতুন নতুন ইস্যুর উত্থান ঘটে। নতুন ইস্যুর ভারে চাপা পড়ে যায় পুরাতন সব ইস্যু। ধুলোপড়া পুরাতন ইস্যুর দিকে নজর পড়ে না কারো। সদিচ্ছার অভাবে অন্তরালে থেকে যায় সকল সত্য।
দেশের ফুটবল অঙ্গনও তার ব্যতিক্রম নয়। সোহাগ কান্ডে একসময় ফুটবল মহল সরগরম থাকলেও, সেই ইস্যু এখন মৃতপ্রায়। আজ বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা বসতে চলেছে। এরই প্রেক্ষিতে আবারো নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে সোহাগকান্ডের চাপা পড়ে যাওয়া ঘটনা। গত ৩০ শে জুলাই সোহাগকান্ডের তদন্ত রিপোর্ট বাফুফের কাছে পেশ করেছিলো তদন্ত কমিটি। রিপোর্ট জমা দিয়ে নিজের দায় সেরেছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি ও নিবার্হী কমিটির প্রেসিডেন্ট কাজী নাবিল আহমেদ। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে কোনো সদুত্তর দিতে পারে নি, বরং প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে অন্যের ঘাড়ে দায়িত্ব তুলে নিজে বাঁচার কাজ করছেন।
সেসময় কাজী নাবিল আহমেদের মতো বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বিস্তারিত কিছু জানান নি, শুধু বলেছেন নির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা। তিনি বলেন,
“আমি প্রতিবেদন দেখব। তারপর সেটা নির্বাহী কমিটির কাছে পাঠানো হবে। নির্বাহী কমিটি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে হলে আপনাদের পরবর্তী নির্বাহী কমিটির সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”
গত ১৪ ই এপ্রিল ফিফার এক প্রতিবেদন পেশ করার হলে বাফুফের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কৃত হন আবু নাইম সোহাগ। প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণের তালিকায় ছিলো বাফুফের আরো কিছু কর্মকর্তার নাম। ইতিমধ্যেই তাদের মধ্যে দুইজন চাকরি থেকে ইস্তফা পেয়েছেন। এতদিন গড়ালেও তদন্ত রিপোর্টের ভেতরকার তথ্য প্রকাশ হয় নি। আজ নির্বাহী কমিটির সভায় হয়তো প্রকাশ পেতে চলেছে তদন্ত রিপোর্টের ভেতরকার সত্যতা।