গত ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ২০২১-২২ মৌসুম। তবে ঘরোয়া ফুটবলে সবসময়ই আলোচনায় থাকে রেফারিং। এই মৌসুমেও প্রথম দুই টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপেও বেশ কয়েকটি ম্যাচে বাজে রেফারিংয়ের অভিযোগ ওঠেছে। বসুন্ধরা কিংস তো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতেও গিয়েছিল। তাইতো প্রিমিয়ার লিগের রেফারিং ইস্যুতে কঠোর থাকার ঘোষণা দিয়েছিল বাফুফে। পাশাপাশি বিদেশি রেফারি আনারও পরিকল্পনা করেছিল ফেডারেশন।

কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রিমিয়ার লিগেরও বেশ কয়েকটি ম্যাচে বিতর্কিত রেফারিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এবার এই রেফারিং ইস্যুতে মুখ খুললেন খোদ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। কাজী সালাউদ্দিন সরাসরিই বলে দিলেন, “সাইফ ক্রমাগত ভুল রেফারিংয়ের শিকার হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ ও বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্ত বসুন্ধরার পক্ষে গেছে।”

তবে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ পদে থেকেও এধরনের মন্তব্য করা কতটুকু যৌক্তিক বা এধরনের মন্তব্য নিজেদের ব্যার্থতাকেই আরো প্রস্ফুটিত করে তোলে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্য বেশ কৌশলী জবাব দিয়েছেন সালাউদ্দিন, “যেটা ফ্যাক্ট সেটা বলতে হবে। গতকাল হেড অফ রেফারিজের সঙ্গে অনেকক্ষণ আলোচনা করেছিলাম। ভিডিও ফুটেজ, আইন নিয়ে নানা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ শুনেছি। এরপরও আজও কথা হয়েছে।” রেফারিং ইস্যুতে তার ও ফেডারেশনের অবস্থান নিরপেক্ষ বলেও দাবি করেন কাজী সালাউদ্দিন, “আমি কোনো ক্লাবের পক্ষে না আবার বিপক্ষেও না। আমার কাছে সব ক্লাবই সমান।”

তারপরও চলমান রেফারিং পরিস্থিতির উন্নতি নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও জানান সালাউদ্দিন, “রেফারিদের সঙ্গে আমরা বসছি। আলোচনা করছি। চ্যাম্পিয়ন ও রেলিগেশন ফাইটের ম্যাচগুলোতে বিদেশি রেফারি আনার চেষ্টা করছি।” তবে বিদেশি রেফারি আনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে বলে জানান বাফুফে সভাপতি, “করোনা পরিস্থিতিতে অনেক কিছুই জটিল। বিদেশি রেফারি আনতে খরচের বিষয়ও রয়েছে। এরপরও আমরা বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করছি।”

দেখা যাক শেষ পর্যন্ত বাজে রেফারিংয়ের কতোটা উন্নতি আনতে পারে বাফুফে। আর মুখের কথার সাথে কাজের কতোটা মিল রাখতে পারেন কাজী সালাউদ্দিন এটাও দেখার বিষয়।

Previous articleবাফুফে এলিট একাডেমীর জয়ে শুরু চ্যাম্পিয়নশীপ লিগ!
Next articleশেষের পথে ফার্নান্দেজের বাংলাদেশ অধ্যায়!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here