বসুন্ধরা কিংস মানেই যেনো আবাহনীর জন্য সাক্ষাৎ মৃত্যু আতঙ্ক। কারণ এই বসুন্ধরা কিংসের সাথে শেষ সাত দেখায় একবারও জয়ের স্বাদ পায় নি আবাহনী। তাই এবারের স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনাল আবাহনী জন্য প্রত্যাবর্তনের একটি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলো। কিন্তু তাতেও কিছু করে উঠতে পারে নি,বরং বসুন্ধরা কিংসের সাথে ৪-০ গোলে পরাজিত হয়ে স্বাধীনতা কাপ থেকে বাদ পড়ার পাশাপাশি মৌসুমের প্রথম বড় ধাক্কাটা পেলো আকাশী-নীলরা।
২৬ মিনিটে প্রতিপক্ষের রাকিব হোসেনের ভুল পাস থেকে বক্সের ভেতরে ফাঁকায় থাকা জনাথন ফার্নান্দেজ বল পেয়ে যায়। বল পেয়েই অন টার্গেটে শট করে এই ব্রাজিলিয়ান। কিন্তু বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে এসে সেই শট আটকে ফেলেন।
৩৮ মিনিটে গোল করার বড় সুযোগ মিস করে বসুন্ধরা কিংস। মিগেল ডামাসেনার কাটব্যাক থেকে গোলের সুযোগটা এসেছিলো। কিন্তু ডরিয়েল্টন গোমেজ স্লাইড করে বলকে গোলে রাখার চেষ্টা চালালেও শেষপর্যন্ত বলে স্পর্শ করতে পারে নি। প্রথমার্ধের খেলা এভাবে আক্রমণ এবং পালটা আক্রমণে চলতে থাকে। কিন্তু কোনো দলই সুযোগকে কাজে লাগাতে না পারায় গোলশূন্য ড্র দিয়ে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে ম্যাচে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। ৪৮ মিনিটে কিংসের হয়ে গোলটি করেন সোহেল রানা। আবাহনীর প্লেয়ার থেকে বল কেড়ে নিয়েই একাই আবাহনীর রক্ষণের দিকে ছুটে যান সোহেল। বক্সের সামনে এসে মিগেল ডামাসেনাকে উদ্দেশ্য করে বল বাড়ান এবং এরপর মিগেল ডামাসেনার ফিরতি পাস থেকে বল পেয়ে বলকে সোজা আবাহনীর জালে পাঠিয়ে দেন।
৫৩ মিনিটে ভুল পাস থেকে বলের দখল নিয়ে আবাহনীর দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে রাকিবের দেওয়া পাস থেকে বলকে আলতো টোকায় বলকে গোলের দিক নিশানা পাইয়ে দেন বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডরিয়েল্টন গোমেজ। এতে করে ২-০ তে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
৭৭ মিনিটে স্কোরলাইন তিন শূন্য করেন মিগেল ডামাসেনা। মাঠের ডানপ্রান্ত থেকে সাদ উদ্দিনের ক্রসে বক্সের ভেতরে একেবারে ফাঁকায় থাকা মিগেল বিনা বাধায় হেড করে গোলটি করেন। আবাহনীর গোলরক্ষক অবশ্য বলকে গোলবারের উপর দিয়ে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলেও,তাতে কাজের কাজ কিছুই হয় নি।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। কিংসের রবসন রবিনহোকে পেনাল্টি এরিয়ায় ট্যাকেল করতে গেলে বল আবাহনীর মিলাদ শেখ সোলায়মানির হাতে লাগায় ফাউলের বাঁশি বাজায় রেফারী। আবাহনীর প্লেয়াররা এতে প্রতিবাদ করলেও রেফারী তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। এরপর পেনাল্টির স্পট কিক থেকে রবসনের গোলে হালি পূরণ করে বসুন্ধরা কিংস। এতে ৪-০ তে জয় পায় অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।