ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে রেফারির সাথে ঘটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু নামটা আবাহনী দেখে অনেকেই ভেবে নিচ্ছেন বিষয়টি হয়তো ঠিকভাবে আমলেই নিবে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বাফুফে বিষয়টিতে সতর্ক হয়েছে। রেফারির রিপোর্ট পেয়ে বিষয়টি পাঠানো হয়েছে শৃঙ্খলা কমিটিতে।
ম্যাচের সংযুক্তি সময়ে নাবিব নেওয়াজ জীবনের একটি গোল অফসাইডে বাতিল করেন লাইন্সম্যান। ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ঐ গোলটি নিয়ে রেফারির কাছে প্রতিবাদ জানায় আবাহনীর খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা। কয়েকজন খেলোয়াড় রেফারিতে শারীরিকভাবেও লাঞ্চিত করেন। মাঠে ডুকে পড়েন আবাহনীর কোচ সহ কর্মকর্তারা। বিষয়টি অবশ্যই শৃঙ্খলা ভঙ্গের। রেফারির সিদ্ধান্তটি সঠিক হোক বা ভুল; কোনভাবেই খেলোয়াড় কিংবা কর্মকর্তারা একজন রেফারিতে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করতে পারেন না। এই বিষয়টির সাথে আরো যুক্ত হয়েছে ম্যাচ শেষে আবাহনী কোচ মারিও লেমসের সংবাদ সম্মেলনে যোগ না দেয়াটা। এটিও শৃঙ্খলা ভঙ্গের আওতাধীন। ফলে তাদের দুটি বিষয়ই শৃঙ্খলা কমিটির কাছে যাচ্ছে।
গতকাল ফাইনাল পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বসুন্ধরা কিংসের কোচ ও অধিনায়ক উপস্থিত হলেও ছিলেন না সাইফের কোচ, অধিনায়ক বা কোন খেলোয়াড়। ক্লাবটির পক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ও দলের ম্যানেজার ওবায়দুর রহমান। তাদের দাবি একই মাঠে কয়েকদলের অনুশীলনের কারণে তারা সূচী মেলাতে পারেননি। কিন্তু বসুন্ধরা কিংস তাদের অনুশীলন সূচী পিছিয়ে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসলেও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব কেন পারলো না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
উক্ত বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘ফেডারেশন কাপের নিয়ম অনুযায়ী দলগুলোর কোচ বা কর্মকর্তাদের ডাকা হলে তারা আসতে বাধ্য। তাই না এসে নিয়ম ভঙ্গ করেছে সাইফ। বিষয়টি ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে পাঠানো হবে। ওই কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে।’ ফলে হয়তো শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে সাইফ এসসি’কে।