ঢাকা আবাহনীর দুরন্ত জয়ের ঘোড়াকে হোঁচট দিয়ে ফেলে দিলো চট্টগ্রাম আবাহনী। প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনীর হোম ভেন্যু সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে পিছিয়ে পড়েও জয় নিয়েই এবার মৌসুমের প্রথম আবাহনী ডার্বি শেষ করলো কোচ মারুফুল হকের দল।
১৬ মিনিটের মাথায় লম্বা থ্রু বল থেকে গোল করে ঢাকা আবাহনীকে এগিয়ে দেয় ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস। আবাহনীর মিডফিল্ডার আবু সাইদ নিজের অর্ধ থেকে লম্বা থ্রু বল বাড়ান। বলকে উদ্দেশ্য করে লম্বা রান মেইক করে ছুটে যান কলিন্ড্রেস। বলকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকেন। সেখানে তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে চট্টগ্রাম আবাহনীর মনির আলম। কিন্তু তার চেষ্টায় জল ঢেলে দিয়ে গোল করেন কলিন্ড্রেস।
তবে লিড বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারে নি ঢাকা আবাহনী। গোলে পিছিয়ে পড়ার মাত্র ৪ মিনিট পর অমিদ পোপালজাইয়ের ক্রস থেকে হেডে গোল করে চট্টগ্রাম আবাহনীকে সমতায় ফেরায় পিটার থ্যাংক গড। কর্ণার কিক থেকে অমিদ প্রথমে সতীর্থ খেলোয়াড়কে পাস দিয়ে আবার বলের পান। এরপর বামপ্রান্ত থেকে ভাসানো ক্রসে হেড করে পিটার থ্যাংক গড। পিটারের হেডে বল বারপোস্টে লেগে গোল হয়ে যায়।
৩৭ মিনিটে ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেসে জোরালো শটে চট্টগ্রাম আবাহনীর শওকত রাসেলের ব্লকে বল ফিরে চলে আসে। ফিরতি বলে কাউন্টার এটাকে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। এই কাউন্টার এটাকে চট্টগ্রাম আবাহনীর দক্ষিণ আফ্রিকান ফরোয়ার্ড উইলিয়াম তাওয়ালা বক্সের ভেতরে ঢুকে গিয়ে খানিকটা সময় নিয়ে অন টার্গেট শট নিয়ে গোল করেন এবং দলকে এগিয়ে দেন। এই লিড নিয়েই বিরতিতে যায় বন্দরনগরীর দল।
ম্যাচের ৬৪ মিনিটে অমিদ পোপালজাইয়ের গোল থেকে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। ঢাকা আবাহনী আক্রমণে গেলে সেখানে বলের পজিশন হারালে প্রতিআক্রমণ তৈরি করে অমিদ পোপালজাই। অমিদ বল রিলিজ করে দেন সতীর্থ সোহেল রানার কাছে। সোহেল আবারো বল দেন পোপালজাইকে। পোপালজাই বল নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে গিয়ে শট নিয়ে গোল আদায় করে ফেলেন।
ম্যাচের শেষ সময়ে এসে বক্সের ভেতরে জুয়েল রানার পাস থেকে বাইসাইকেল কিকে গোল করে ব্যবধান একটু কমালেও শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পারে নি ঢাকা আবাহনী। এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থতে আছে চট্টগ্রাম আবাহনী। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে এক পয়েন্টে এগিয়ে থেকে তালিকার দ্বিতীয়তে আছে ঢাকা আবাহনী।