সাঈদ ইবনে সামস: সময়টা ২৬ জুন, ২০১৯; বুধবার বিকাল। চোখটা তখন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের আসামের গৌহাটিতে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে। ভিসা জটিলতায় ভারতে যেতে পারেনি সানডে সিজোবা। দলের সেরা স্ট্রাইকারকে ছাড়াই এএফসি কাপে দেশের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নক আউট পর্বে যাওয়ার সুযোগ থেকে একধাপ দূরে দাড়িয়ে ছিলো ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ঐদিকে নেপালের মাটিতে চেন্নাইয়ান এফসি ৩-২ ব্যবধানে কাঙ্খিত জয় পেয়েছে। ফলে অঘোষিতভাবে ভারতে মিনার্ভার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটা জিততেই হবে আবাহনীকে। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্ত। বড় এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নটা যেন শেষ হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু না; অতিরিক্ত সময়ে ডিফেন্ডার মাসিই সাইঘানির গোলে ১-০ গোলের রোমাঞ্চকর জয় পায় আবাহনী। তার সঙ্গেই গ্রুপে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করে এএফসির নক আউট পর্ব অর্থাৎ জোনাল সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশের আকাশি নীল বিগ্রেড। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথম কোন ক্লাব এই কীর্তি গড়তে সক্ষম হয়। সেমিফাইনালে উত্তর কোরিয়ার ক্লাব এপ্রিল ২৫ স্পোর্টস ক্লাব এর কাছে দুই লেগ মিলিয়ে পরাজিত হলেও দেশের ফুটবলে জন্য এক স্বর্ণালি ইতিহাস তৈরি করলো বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ক্লাব ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।
ফিরে যাওয়া যাক একেবারে শুরুতে। সময়টা ১৯৬৪; ধানমন্ডির ১৯ নম্বর রোডে নিয়মিতি আড্ডা দিতো হারুনুর রশিদ সহ ১০-১২ জন ছেলে। মূল ঘটনায় যাওয়ার আগে পরিচয় হওয়া দরকার হারুনুর রশিদের সাথে। তিনি বর্তমানের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের একজন সদস্য। অনেকেই বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ কামালকে ঢাকা আবাহনীর মূল প্রদর্শক হিসেবে ভাবেন। অবশ্য তা ঠিকও। বর্তমান যে আবাহনীকে আমরা চিনি তা তার দেখানো পথেই প্রতিষ্ঠিত। তবে আবাহনী নামটি সহ এই ক্লাবের শুরুটা অবশ্য হারুনুর রশিদের হাত ধরেই। তবে ফিরে যাওয়া যাক ১৯৬৪ সালের সেই সময়টায়। ধানমন্ডির মূল নকশায় আবাহনীর মাঠটি ছিলো। তবে মাঠটির অবস্থা ছিলো খুবই খারাপ। প্রায় জঙ্গল বলা চলে। মাঠটি সিএনবি-র মালিকানাধীন ছিলো যা এখনকার পিডাব্লিউডি। সেই সময় হঠাৎ প্লটের জন্য সিএসপি-র অফিসারদের কাছে মাঠটি বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তখনই হারুনুর রশিদ সহ তার বন্ধুরা মাঠটি রক্ষায় পরামর্শ চায় মাঠের পাশেই বসবাস করা ফুড ডিপার্টমেন্ট এর একজন সেক্রেটারির কাছে। উনি তাদের বলেন, ‘তোমাদের ছাত্রদের আন্দোলন তো আইয়ুব সরকার ভয় পায়। দেখো, তা করে এই মাঠ বাঁচাতে পারো কি না।’ এরপর তারা ফটোগ্রাফার দিয়ে ছবি-টবি তুলিয়ে বিষয়টি নিয়ে ইত্তেফাকে রিপোর্ট করালো। মর্নিং সানেও রিপোর্টটি এসেছিলো। সিএনবির এক সাব-ডিভিশন অফিস ছিল পাশে। সেখানে গিয়ে একদিন হইচই, ভাঙচুর করলো তারা।
এলাকার এক উকিলের সঙ্গে পরামর্শ করে মাঠটি পাওয়ার জন্য আদালতে রিট করে হারুনুর রশিদ ও তার বন্ধুরা। তখন তিনি ইন্টারমেডিয়েটের ছাত্র। পরে দফায় দফায় আরো অনেক মিটিং শেষে সিএনবি রাজি হয় মাঠ ছেড়ে দিতে। কিন্তু তারা কাকে দেবে? কারণ একটি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে।ঠিক তখনই জন্ম হয় আবাহনীর। তারা প্রতিষ্ঠিত করেন আবাহনী সমাজ কল্যাণ সমিতি।
সমাজ কল্যান সমিতি কেন? কারণ তৎকালীন এলাকার মুরব্বিরা ‘ক্লাব’ নামটা পছন্দ করতেন না। তখন ক্লাব মানেই মদ, জুয়া—এমন একটা ধারণা সবার। সে কারণে শুরুটা হয় ওভাবেই। আবাহনী সমাজ কল্যাণ সমিতির অধীনে তিনটি শাখা তৈরি হয়। ক্রীড়া চক্র, সাহিত্য চক্র, সংস্কৃতি চক্র। তারা চিন্তা করে খেলা-সাহিত্য-সংস্কৃতি চক্রের মতো হবে; সারা বছর এ সবের কোনোটার না কোনোটার কার্যক্রম থাকবে। সে কারণে তিন ক্ষেত্রে চক্র জুড়ে দেয়। আবাহনী মাঠের জন্য তারা আন্দোলন শুরু করে ১৯৬৪ থেকে। ১৯৬৬ সালের মে মাসে গিয়ে আবাহনী সমাজ কল্যান সমিতির সাংগঠিক কাঠামো তৈরি হয়।
যখন তারা সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করবে তখন নামের একটি প্রয়োজন দেখা দেয়। তাই তারা ধানমণ্ডি মহল্লার সবাইকে চিঠি দেয় নামের জন্য। অনেক নাম আসে। মুরব্বিদের নিয়ে বসে পছন্দ করা হয় আট-দশটি নাম। এর মধ্যে ‘আবাহনী’ নামটি নতুন মনে হয় তাদের, শুনতেও ভালো শোনায়। কিন্তু এর অর্থ বুঝতে পারছিলো না তারা। এই নাম দেন এলাকার বাংলার এক শিক্ষক অধ্যাপক মোতাহার হোসেন। ওনার কাছে গিয়ে তারা জানতে চান, ‘চাচা, আবাহনী নাম যে দিলেন, এর অর্থ কী?’ উনি বলেন, ‘বাংলা নামের অর্থ বুঝবে কী করে? তোমরা সব তো ইংরেজ হয়ে গেছ। আবাহনী অর্থ আগমনী বার্তা, আগমনী ধ্বনি, আগমনী সংগীত।’ শুনে তাদের খুব ভালো লাগে। তখনই নামকরন করা হয় আবাহনী সমাজ কল্যান সমিতি।
আবাহনীর সাথে শেখ কামালের সম্পৃক্ততা ১৯৬৮ সালের দিকে। তৎকালীন ধানমন্ডি ক্লাব যেটি এখন শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব, শেখ কামাল ওই ক্লাবের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যথাসম্ভব ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৬৮ সালে একদিন আবাহনী মাঠের পাশে হাঁটছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মানিক মিয়া। হারুনুর রশিদকে তিনি আগে থেকেই চিনতেন। তাকে দেখে ডাক দেন, ‘এই নোয়াখাইল্যা, এদিকে আয়।’ তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদপুর থেকে বিহারিরা এসে আমার লালমাটিয়ার বাঙালিদের ডিস্টার্ব করে। তোরা তো ২০-২৫টা ছেলে ক্লাবে খেলিস, আড্ডা দিস। বিহারিরা এদিকে এলে তোরা এদের পাল্টা দৌড়ানি দিবি।’ বলে হেঁটে একটু সামনে গিয়ে ফেরত এসে বলেন, ‘কামালদের ক্লাবে কী সব গণ্ডগোল হয়। ওদের বলব, যেন তোদের এই ক্লাবে চলে আসে।’ শেখ কামালকে আগে থেকেই চিনতেন হারুনুর রশিদরা। ওই দিন বিকেলেই শেখ কামাল আবাহনী মাঠে প্রথম আসেন। বলেন, ‘আব্বা বলেছে, আপনাদের ক্লাবে আসতে।’ খুশিমনে তাকে স্বাগত জানায় সবাই। প্রথম দিনই ক্লাব নিয়ে, খেলা-সংস্কৃতি নিয়ে তার চিন্তাভাবনার কথা শোনান শেখ কামাল, তাতেই ক্লাবের সকলের তাক লেগে যায়। ১৯৬৯ সালে রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদক মানিক মিয়া মারা যান। তাঁর স্মরণে ৩২টি দল নিয়ে আবাহনী সমাজ কল্যান সমিতি আয়োজন করে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেম মিসেস মুজিব; উদ্বোধন করেন মিসেস মানিক মিয়া। এভাবেই আস্তে আস্তে ধানমণ্ডি এলাকার মধ্যে আবাহনীর জনপ্রিয়তা, পরিচিতি বাড়তে থাকে।
বর্তমানে যে আবাহনী তার যাত্রা শুরু মূলত স্বাধীনতা যুদ্ধের পর। যুদ্ধের পর শেখ কামাল প্রস্তাব করেন,‘নতুন দেশে নতুন দল করব।’ তখন হারুনুর রশিদ জানান নতুন দল করলে আবার তৃতীয় বিভাগ থেকে ধাপে ধাপে এসে প্রথম বিভাগে উঠতে হবে। তখন তারা জানতে পারলো মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ইকবাল স্পোর্টিং বিহারিদের ক্লাব যারা যুদ্ধের ফলে এখান থেকে পালিয়ে যান। এরপর এক উকিলের পরামর্শে তারা ইকবাল স্পোর্টিংয়ের একটা এজিএম দেখায় এবং সেখানে রেজল্যুশনের মাধ্যমে ক্লাবের নাম বদলে তা এফিডেভিট করে জমা দেয় আদালতে। তখন শেখ কামাল সিদ্ধান্ত নেন আবাহনী সমাজকল্যাণ সমিতির তিন শাখার মধ্যে এখানে তারা শুধু ক্রীড়া চক্র রাখবে। সাহিত্য ও সংস্কৃতির বাকি দুই চক্রের জন্য ভিন্ন প্লাটফর্ম করবে। তখন সৃষ্টি হয় আবাহনী ক্রীড়া চক্রের। ফুটবল ক্লাব তারা করে ইকবাল স্পোর্টিং থেকে। আর ক্রিকেট ও হকি ইস্পাহানি থেকে। ১৯৮৯ সালে আবাহনী ক্রীড়া চক্র লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তিত হয়ে নাম হয় আবাহনী লিমিটেড।
ঢাকা আবাহনীর লোগোটা নিজ হাতে করেন হারুনুর রশিদ। ঘরে বসেই তিনি লোগোটি আঁকেন। মূল থিমটা তিনি নিয়েছিলেন জাতিসংঘের পতাকা থেকে। জাতিসংঘের লোগোর সঙ্গে আবাহনীর লোগোর অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ওই পতাকার দুই পাশে পাতা নিলেন তিনি। জাতিসংঘের পতাকা আকাশি, সেখান থেকে নেন ওই রং। এটি আরো ভালো করে ফোটার জন্য নিচে হলুদ রং দিয়ে মাঝে লিখেন আবাহনী।
১৯৭৩ সালে ঢাকা লীগ দিয়ে শুরু হয় আকাশী নীল বিগ্রেডদের যাত্রা। প্রথমবার অংশগ্রহণ করেই রানার্সআপ হয়ে সবাইকে চমকে দেয় ঢাকা আবাহনী। শিরোপার দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ফুটবল ক্লাব ঢাকা আবাহনী ১৯৭৪ সালেই নিজেদের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলে তারা। সেই থেকে শুরু; এরপর ঢাকা লীগ মোট ১১ বার শিরোপামজিতে ধানমন্ডি ১৫ নম্বরের দলটি।
২০০৭ সালে ঢাকা লীগ নাম পরিবর্তন করে হয় বি- লিগ অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ লীগ। প্রথম মৌসুমেই বি লীগ শিরোপা জিতে নেয় বাংলাদেশে ফুটবল জায়ান্টের রূপ নেয়া ঢাকা আবাহনী। ২০১২ সালে বি লীগ নাম পরিবর্তন হয়ে হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ৷ আবারো শিরোপা জয় করে নতুন শুরুতেই নিজেদের সেরা প্রমান করে আকাশী নীলরা।২০০৭,২০০৮-০৯,২০০৯-১০,২০১২, ২০১৬ এবং সর্বশেষ শেষ ২০১৭ সালে মোট ছয়বার পেশাদার লীগের শিরোপা জয় করে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ক্লাবের তকমা এখন আবাহনীর গায়েই ৷ এছাড়াও ফেডারেশন কাপ জিতেছে ১০ বার। ১৯৮২ সালে প্রথমবার ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতেছিলো তারা। ২০০০ সালে জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপাও ঘরে উঠে আকাশী নীলদের।
আর্ন্তজাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশের সফল ক্লাব ভাবা হয় আবাহনীকে। ভারতের মাটিতে তিনটি টুর্নামেন্টের শিরোপা আছে তাদের। ১৯৯০ সালে নাগজি ট্রফি দিয়ে শুরু হয় বিদেশের মাঠে শিরোপা জয়। সেই টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা আবাহনী। এরপর ১৯৯৪ সালে চার্মস কাপ (ভারত) এবং ২০১০ সালে বদৌলোই কাপ(ভারত) জেতে তারা। তিনটিই শিরোপাই দাপটের সাথে জিতে। এছাড়া ১৯৯১ সালে দুই বাংলার সেরা ৬টি দল নিয়ে একটি টুর্নামেন্ট হয় যাতে জয় লাভ করে ঢাকা আবাহনী। এএফসি কাপে অংশগ্রহন করে সর্বোচ্চ সফলতা পায় গতবারই যা প্রথমেই উল্লেখ করেছি।
দেশী বিদেশী তারকা খেলোয়াড়ে সবসময় ভরপুর ছিলো ঢাকা আবাহনী। ১৯৮৬ সালে ইরানের সামির শাকির খেলেছিলেন আবাহনীতে। এশিয়ার সেরা ডিফেন্ডার বলা হতো এই ইরানি ফুটবলারকে। তিনি খেলার পর আবাহনীর কোচের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। তার সাথে ১৯৮৬ সালে আরো খেলেছিলেন ইরানের অধিনায়ক করিম মোহাম্মদ আলভী। এছাড়াও শ্রীংলঙ্কান কিংবদন্তী ফুটবলার প্রেমলাল, লায়নেস পিরিচ এবং নিজাম পাকের আলীও আবাহনীর হয়ে ঢাকার মাঠ কাঁপিয়েছেন। ১৯৯২ তে রাশিয়ার সার্জি জুকোভ আবাহনীর হয়ে তার ফুটবলশৈলি দেখিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নেন। দেশি ফুটবলারদের মধ্যে প্রায় সব বড় তারকাই খেলেছে আবাহনীর জার্সিতে। দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা বর্তমান বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন ১৯৭২ থেকে ১৯৮৪ সাল পযর্ন্ত খেলেছেন আকাশী নীল জার্সিতে৷ পরবর্তীতে তিনি আবাহনীর কোচও ছিলেন। এছাড়াও মোনেম মুন্না, গোলাম রাব্বানী হেলাল, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু, গাফফার, শেখ মোহাম্মদ আসলাম এর মত তারকারা খেলেছেন এই আবাহনীর জার্সিতে। দক্ষিন এশিয়ার সেরা ফুটবলারের তকমা পাওয়া মোনেম মুন্না ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছিলেন।
বাংলাদেশের ফুটবলে আবাহনী এক অনন্য নাম। তারা ছাড়িয়ে গেছে দেশের সকল ক্লাবকে। নিজেদের নিয়ে গিয়েছেন অন্য এক উচ্চতায়। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাস যতই সমৃদ্ধ হোক তার শুরুতে সময়ই থাকবে আবাহনীর নাম। জয়তু ঢাকা আবাহনী।
তথ্য কৃতজ্ঞতায়ঃ ২৮ জুলাই, ২০১৭ (কালেরকন্ঠ)