অবশেষে শনিবার থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে নারী ফুটবল লিগ। শুক্রবার বাফুফে ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছে বাফুফে নারী ফুটবল কমিটি। প্রশ্ন উত্তরে আলোচিত বিষয় ছিলো এই উত্তপ্ত গরমে মেয়েদের মাঠে খেলা।
তীব্র তাপদাহে পুরো দেশেই নাজেহাল অবস্থা। আবহাওয়া অধিদপ্তর হিট ওয়েভ জারি করেছে। তার পরিপেক্ষিতে পুরো সপ্তাহ জুড়ে বন্ধ ছিলো স্কুল, কলেজ,, বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু কমলাপুরে তখনও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লিগ চালু রেখেছিলো বাফুফে। এবার তারই ধারাবাহিকতায় এই গরমেই শুরু হতে চলেছে নারী ফুটবল লিগও। বাফুফে সকাল সাড়ে নয়টা ও বিকেল পৌনে চারটায় নারী ফুটবল লিগের ম্যাচ রেখেছে। প্রায় পরিত্যক্ত এই কমলাপুরের টার্ফে তীব্র তাপদাহে নারীদের খেলা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সামনেই রয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ। জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ইনজুরিতে পড়লে ভুগতে হবে দলকে।
কমলাপুর স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট রয়েছে। কিন্তু ফ্লাডলাইট থাকা পরও রোদের মধ্যে লিগ কেন এই প্রশ্নের উত্তরে বাফুফে নির্বাহী সদস্য ও নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন,
‘ফ্লাডলাইটে খেলা চালাতে হলে বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে। আমাদের টাকা নেই। খুব কষ্ট করে আমরা স্পন্সর এনে খেলা আয়োজন করি।’
সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মের পরিবর্তন এনেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এখন থেকে ব্যবহারিত বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে হবে ফেডারেশনকে। উক্ত বিষয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন,
‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আমাদের চিঠি দিয়েছে ফ্লাডলাইট ব্যবহার করলে মিটার রিডিং অনুযায়ী বিল প্রদান করতে হবে। আমরা সেই নির্দেশনার আলোকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শেষ রাউন্ডের খেলা চালিয়েছি। এতে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার টাকা লাগে।’
এতো টাকা খরচ করে লিগ করছে ফেডারেশন। ৯ দলের এই লিগে আর কিছু টাকা খরচ করলেই হয়তো এই ঝুঁকি নিতে হতো না খেলোয়াড়দের। তবে মেয়েদের লিগই নিয়মিত না, তাই হয়তো এই সব বিষয়ে না ভেবে খেলাতেই মনযোগ নারী ফুটবলারদের। স্বপ্ন তাদের অনেক বড়, দেশের জন্য খেলার সুপ্ত ইচ্ছা সকলের মনে। কিন্তু এই স্বপ্নবাজ নারীদের পথ মসৃন করার দায়িত্ব কি ফেডারেশনের নয়?