মোরসালিন;বাংলাদেশ দলের বিস্ময় বালক বা তরুণ তুর্কি অথবা গেম চেঞ্জার, যেকোনো তকমাই মোরসালিনের নামের সাথে জুড়ে দেওয়া যায়। দল পিছিয়ে পড়লে ত্রাতা বেশে অর্বিভাব ঘটে মোরসালিনের,দলকে সমতা অথবা জয়ের বন্দরে পৌঁছিয়ে তবেই ক্ষান্ত হোন বাংলাদেশ দলের নাম্বার সেভেন।
বক্সের বাইরে থেকে রকেট গতি শট মোরসালিনের ট্রেডমার্ক। অন্য জায়গা থেকে গোল করার চেয়ে বক্সের বাইরে গোল করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন মোরসালিন। তবে কোনো গোলই তার পার্থক্য সৃষ্টি করে না। এই প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মোরসালিন বলেন,
আজকের ম্যাচে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। গোলটা প্রয়োজন ছিল। আমার কাছে প্রতিটি গোলই সমান।
আজকের ম্যাচের প্রতিপক্ষ লেবানন বাংলাদেশের চেয়ে সব সূচকেই এগিয়ে ছিলো। তাই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সাথে পয়েন্ট পেয়ে সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করেন মোরসালিন,
আলহামদুলিল্লাহ, আমরা এক পয়েন্ট পেয়েছি। যদিও আমাদের লক্ষ্য ড্র ছিল না, আমরা জিততে চেয়েছিলাম। এরপরও এক পয়েন্ট পেয়েছি আমরা। সামনের ম্যাচগুলোতে জয়ের জন্যই খেলব।
লেবাননের সাথে ড্র’য়ের ফলে বিশ্বকাপ ও এএফসি এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বে পয়েন্টের খাতা খুলেছে বাংলাদেশে। মোরসালিনের গোলের কারণে পয়েন্ট পেলেও মোরসালিন সম্পূর্ণ কৃতিত্ব নিজের পুরো দলকে দিয়েছেন,
আমাদের এই ম্যাচে পয়েন্ট পেতে হলে শতভাগ তো বটেই শতভাগের বেশি দিতে হতো। এর মধ্যে আমি একটি গোল করেছি।
গোল করলেও কয়েকবার গোল মিস করেছেন মোরসালিন। সেটা নিয়ে আক্ষেপও প্রকাশ করেন দলের এই তরুণ মিডফিল্ডার। তবে পরবর্তীতে ভুল শুধরে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে মোরসালিন বলেন,
আমি চেষ্টা করেছি, পারিনি। সামনে এর পুনরাবৃত্তি না করার চেষ্টা করব।