বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ও সাফল্য সবার নজর কাড়ে। টানা দুই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করে মেয়েরা হয়ে উঠে সবার প্রশংসার পাত্রী। কিন্তু শৃংখলার ইস্যুতে কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বে সমালোচনার মুখে পড়েন অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ সিনিয়র খেলোয়াড়রা। এবার তাদের ছাড়াই দল গঠন করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।

আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় স্বাগতিক আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দুবাইয়ে অবস্থিত সংযুক্ত আরব আমিরাত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে। বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আফিদা খন্দকার। তার সঙ্গে একঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে আরব আমিরাতের মুখোমুখি হচ্ছেন পিটার বাটলার।

বর্তমান ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ১৬ ধাপ এগিয়ে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে ১৩২তম, আরব আমিরাত সেখানে ১১৬তম স্থানে রয়েছে। তার উপর বাংলাদেশ খেলবে প্রায় একটা নতুন দল নিয়ে। সবশেষ সাফের চ্যাম্পিয়ন দলের মাত্র ৮ জন আছেন বর্তমান দলে। অধিনায়ক আফিদা ছাড়া বাকি ৭ জন সাফে খেলার সুযোগ পাননি, শুধু দলে ছিলেন। এছাড়া ৯ জন নতুন মুখ আছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষেকের অপেক্ষায়।

অপরদিকে স্বাগতিক আরব আমিরাত পূর্ণশক্তির দল নিয়েই মাঠে নামছে। ঘরের মাঠে তাদের সবশেষ দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৩-০ ও ১-০ গোলে হারিয়েছে ইরাককে। তাই বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েই অপেক্ষায় স্বাগতিক আরব আমিরাতের মেয়েরা। বাঘিনীদের নতুন দল নিয়ে সে চ্যালেঞ্জকেই মোকাবেলা করতে হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন করেছে মেয়েরা। সেখানে বাংলাদেশের তুলনায় কিছুটা ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছে। তাছাড়া এর আগে তাদের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকায় অনুশীলনে নিজেদের শতভাগ প্রস্তুত করে মাঠে নামার লক্ষ্যের কথা জানান অধিনায়ক আফিদা খন্দকার। তিনি বলেছেন,

“আরব আমিরাতের সম্পর্কে আমাদের সেভাবে ধারণা নেই। কারণ আমরা তাদের খেলা ঐভাবে দেখতে পারিনি। তো আমরা যতটুকু প্র্যাকটিস করেছি, কোচ আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, যেভাবে ভালো মনে করেছেন সেভাবেই আমাদের প্র্যাকটিস করানো হয়েছে। আমরা ওভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামবো।”

এদিকে বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলারের চোখে এই সফর নতুন খেলোয়াড়দের জন্য দারুন এক সুযোগ। ম্যাচের আগে তিনি বলেছেন,

“আরব আমিরাতের বিপক্ষে এই দুই ম্যাচ আমাদের জন্য বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ। যা আমি ইতিবাচকভাবে নিয়েছি। আমি একটা নতুন দল নিয়ে কাজ করেছি এবং ৩/৪ সপ্তাহের স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি তারা বয়সভিত্তিক দলে খেলার অভিজ্ঞতা জাতীয় দলে কাজে লাগাবে। আমি মনে করি তরুণ খেলোয়াড়দের সক্ষমতা ও প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য এই সফরটা দারুন সুযোগ।”

Previous articleবিদ্রোহীদের অভাব অনুভব করছেন না আফিদা!
Next articleরহমতগঞ্জের জার্সিতে বাংলাদেশে ফিরছেন সলোমন কিং!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here