স্বপ্নটা তাদের সব সময় ফুটবলার হয়ে মাঠে দৌড়ানোই ছিলো। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম খেলায় মাঠ ছেড়ে বেড়িয়ে রাজমিস্ত্রি, ঝাড়ুদার ও ইজি বাইক চালক হতে হয়েছে। বলছি নারায়ণগঞ্জের আরিফ হাওলাদার, ফরিদপুরের রিপন ও খুলনার হাসান আল মামুনের কথা।
জাতীয় যুব দলে খেলা নারায়ণগঞ্জের আরিফ প্রিমিয়ার লিগের তিনটি ক্লাবে খেলেছেন। ফরিদপুরের রিপন তো ট্রেনিং করে এসেছে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। কিন্তু অর্থের অভাবে আজ তাদের এই সামান্য কাজ করে পরিবারের হাল ধরতে হয়েছে। এই দূর্ভোগ দেখে তাদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন। তিন খেলোয়াড়ের প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে টাকা ও ফুটবল সামগ্রী প্রদান করেছেন। করে দিয়েছেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবে অনুশীলনের সুযোগও। এই সময়ে তাদের এই সহযোগীতা যে অনেক বেশি উপকার করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তিন ফুটবলারকে সহায়তার পর তরফদার রুহুল আমিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ফুটবলাররা দেশের ভবিষ্যৎ। আজ যে তিন ফুটবলার ফুটবল ছেড়ে ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছেন; তারা কিন্তু সবাই ভালো ভালো ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। তাদের অবস্থা এমন হবে কেন!’ এর দায়ভারটা তিনি বাফুফে’র কাঁধেই তুলেছেন। তার মতে সঠিক পরিকল্পনার অভাবেই ফুটবলারদের আজ এই অবস্থা।