আগামী জুনের ফিফা উইন্ডোতে ইন্দোনেশিয়া ফুটবল দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। সেই লক্ষ্যে বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া অবস্থান করছে তারা। ২৭ শে মে বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছালেও বাংলাদেশ দল ২৮ শে মে অনুশীলনে নামে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ইন্দোনেশিয়ায় তৃতীয় দিনের মতো নিজেদের অনুশীলন সম্পন্ন করেছে।
আজ ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সময় সকাল ১১:০০-১১:৩০ মিনিট পর্যন্ত টিম মিটিং,পজিশন ও ইন্ডিভিজুয়াল ওয়াইজ মিটিং এ নিয়ে কাজ করার হয়। পরবর্তীতে সকাল ১১:৩০-১২:০০ টা পর্যন্ত জিম এবং পুল সেশন সময় পার করে বাংলাদেশ দল। ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সময় বিকাল ৫:৩০ টা সি জালাক হারুপাত স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু করে বাংলাদেশ দল। অনুশীলন চলে সন্ধ্যা ৭:০০ টা পর্যন্ত।
অনুশীলনে দলের সবাই উপস্থিত থাকলেও ইঞ্জুরির কারণে উপস্থিত ছিলেন না মিডফিল্ডার সোহেল রানা। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আজকে তৃতীয় দিনের মতো বাংলাদেশ দল ইন্দোনেশিয়ার এই স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে। দলের সবাই সুস্থ আছে,শুধুমাত্র সোহেল রানা ছাড়া। গতকাল অনুশীলনের সময় সে হাঁটুতে একটু ব্যাথা পেয়েছিলো। তাকে ডাক্তার ও আমাদের ফিজিও দুইজনের তত্ত্বাবধানে রেখেছিলাম। বড় কোনো সমস্যা নেই। আগামীকাল আমরা আবার তাকে মাঠে পাবো।’
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সকল সদস্যবৃন্দের মালয়শিয়ান ভিসা ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা হলেও বসুন্ধরা কিংস এর খেলোয়াড়গণ এএফসি কাপে ২০২২ অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে গত ১৪-২৫ মে ২০২২ তারিখ পর্যন্ত ইন্ডিয়ায় অবস্থান করার কারণে আজ ৩০ মে ২০২২ তারিখে বসুন্ধরা কিংসের বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাথে অন্তর্ভুক্ত ৮ জন খেলোয়াড়ের মালয়শিয়ান ভিসা আজ মালয়শিয়ান দূতাবাস, জাকার্তা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ করে ‘এএফসি এশিয়ান কাপ চায়না -২০২৩’ এর কোয়ালিফায়ার্স রাউন্ড খেলতে আগামী ২রা জুন মালেশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে বাংলাদেশ দল। ইন্দোনেশিয়া ও কোয়ালিফায়ার্স রাউন্ড দুইটি বড় চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ ফুটবল দল। এই চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে গোলরক্ষক ভূমিকা সম্পর্কে বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো বলেন, ‘সামনে আমাদের এশিয়ান কাপের কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। ফ্রেন্ডলি ম্যাচ সহ চার ম্যাচ। এশিয়ান কাপে আমাদের গ্রুপের দলগুলো শক্তিশালী। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটাও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। এইসব ম্যাচে গোলকিপারদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। কারণ বড় টিমের বিপক্ষে গোলকিপারদের বড় দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমরা যদি আমাদের জায়গা থেকে শতভাগ দিতে পারি,তাহলে আশাকরি আমরা এশিয়ান কোয়ালিফায়ারে ভালো কিছু করতে পারবো।’