গত কিছুদিন আগে বাংলাদেশে কমিয়ে আনা হয়েছে কোটাপ্রথা। বাংলাদেশের পর এশিয়ান ফুটবলেও বাতিল কোটা প্রথা। এএফসি তাদের আসর গুলোতে বিদেশী কোটা বাতিল করেছে। এতে করে এবার থেকে একাদশে নির্দিষ্ট পরিমানের বিদেশী খেলোয়াড় খেলানোর কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকবে না।
এএফসি এই মৌসুম থেকে তাদের টুর্ণামেন্টগুলোতে বেশকিছু পরিবর্তন এনেছে। বদল এসেছে টুর্ণামেন্টেগুলোর নামে। আগে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, এএফসি কাপ আয়োজন হলেও এবারে আয়োজন হবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ এলিট, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টু এবং এএফসি চ্যালেঞ্জ লীগ নামের নতুন তিন টুর্ণামেন্ট। টুর্ণামেন্টের ধরণ এবং নামের পরিবর্তনের পাশাপাশি নিয়মনীতিতেও পরিবর্তন এনেছে এএফসি, তুলে দিয়েছে তাদের বিদেশী কোটা সিস্টেম।
পূর্বের কোটা সিস্টেম অনুযায়ী চারজন বিদেশী খেলোয়াড়ের একাদশে থাকার নিয়ম ছিলো। গত মৌসুমে সেটা শিথিল করলেও সর্বোচ্চ ছয়জন বিদেশী খেলোয়াড়কে দলে রাখার নিয়ম ছিলো। এবার থেকে তাও হচ্ছে না;ফলে সামনের মৌসুম থেকে ক্লাবগুলো তাদের খেয়ালখুশি মতো প্লেয়ার রেজিষ্ট্রেশনের পাশাপাশি নিজেদের ইচ্ছেমতো বিদেশী খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে রাখতে পারবে। মূলত টুর্ণামেন্টের প্রতি দর্শকদের আকর্ষণ বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএফসি।
তবে সবকিছুরই ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে। ঠিক তেমনি এএফসি এই সিদ্ধান্তেরও ভালো খারাপ দুইদিকই রয়েছে। অবাধে বিদেশী খেলোয়াড় খেলানোর ফলে লোকাল প্লেয়ারদের জায়গা অনেক কমে আসবে। এই প্রভাব ক্লাবে না পড়লেও জাতীয় দলগুলোতে বেশ ভালোভাবেই পড়বে। লোকাল প্লেয়াররা ক্লাবগুলোতে জায়গা কম পেলে জাতীয় দলে নতুন প্লেয়ার তেমন একটা উঠে আসতে পারবে না। ফলে দুর্বল হয়ে পড়বে এশিয়ান ফুটবলের জাতীয় দলগুলোর শক্তিমত্তা।
এছাড়া কম অর্থনৈতিক শক্তিসম্পন্ন দল গুলো এই লড়াইয়ে একদম পিছিয়ে পড়বে। বিদেশী কোটা উঠিয়ে দেওয়ার ফলে বড় বড় দলগুলো তাদের স্কোয়াডে তারকা খেলোয়াড়দের ভেড়াতে পারলেও ছোট দলগুলো করতে পারবে না। এতে করে বড় দলগুলো নিজেদের শক্তি বাড়াতে পারলেও, ছোট দলগুলো মধ্যমমানের খেলোয়াড় এবং লোকালদের নিয়ে দল গড়ার কারণে বড় দলগুলো থেকে যোজন যোজন পিছিয়ে পড়বে। এতে হারাতে পারে এশিয়ান ক্লাব ফুটবলের সৌন্দর্য।