নাইজেরিয়ান থেকে বাংলাদেশী হওয়ার ফলে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে আন্তর্জাতিক আসরের ম্যাচ খেলার জন্য ফিফা এবং এএফসির অনুমতির প্রয়োজন ছিলো এলিটা কিংসলের। কিন্তু এএফসি কাপের রেজিষ্ট্রেশন সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়াতে গ্রুপ পর্বে কিংসলেকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়নরা।
ফিফার অনুমতি পাওয়ার জন্য বিগত এক মাস যাবত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল বসুন্ধরা কিংস ও বাফুফে। বেশ কয়েকবার চিঠি আদানপ্রদানের পর গত ৫ বছরের কিংসলের বাংলাদেশ অবস্থান এবং নাইজেরিয়া আসা যাওয়া সংক্রান্ত ইমিগ্রেশন রিপোর্ট দেখানো পর্যন্ত ছিলো ফিফার অবস্থান, সে বিষয়ে কিংস এবং বাফুফে কাজ চালালেও ১২ আগস্ট হঠাৎ করেই এএফসি লিগ্যাল বিভাগ বিষয়টি নাকচ করে দেয়।
বসুন্ধরা কিংসের মিডিয়া ও মার্কেটিং ম্যানেজার আহমেদ অফসাইডকে জানান, ‘এএফসি কম্পিটশন বিভাগ জানিয়েছিল যে ইমিগ্রেশন বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় থেকে কিংসলে এরজন্য চিঠি লাগবে যাতে সে যে ৫ বছর আছে তা প্রত্যয়ন করে। সেই কাজ শুরু হয়েছিল কিন্তু লিগ্যাল বিভাগ হঠাৎ জানিয়েছে এই পর্বে কিংসলে আর খেলতে পারবে না। নকআউট রাউন্ডে উঠলে আবার রেজিস্ট্রেশন এর চেষ্টা করতে হবে।”
নিজ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে বৈবাহিক সুত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন এলিটা কিংসলে। তবে এরপর লকডাউন বিড়ম্বনায় জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকায় প্রিমিয়ার লীগে দ্বিতীয় লেগে শুরুতে খেলতে পারেননি কিংসলে। পরবর্তীতে পর সমস্যা সমাধান হলে প্রিমিয়ার লীগে খেলা শুরু করেন কিংসলে।
তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য ফিফা এবং এএফসির অনুমতি প্রয়োজন। বৈবাহিক সুত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি ফিফার নিকট এত গুরুত্ব বহন না করায় পাশাপাশি পারিবারিক সুত্রে সম্পর্ক না থাকায় কিংসলের সর্বশেষ পাঁচ বছরের বাংলাদেশ অবস্থান এবং নাইজেরিয়া যাওয়া আসার কারণ সহ সব প্রমাণাদি ফিফার নিকট বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে বাফুফেকে।
আপাতত মানসিক ভাবে যাতে ভেঙে না পড়ে কিংসে তাই তাকে সাথে করে মালদ্বীপ নিয়ে যাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। দুই এক সপ্তাহের ভিতর ফিফার অনুমতি লাভ করলে তখন বাংলাদেশের হয়েও খেলার সুযোগ থাকবে কিংসলের
তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য ফিফা এবং এএফসির অনুমতি প্রয়োজন। বৈবা