এএফসি কাপকে সামনে রেখে বেশ তোড়জোড় চালাচ্ছে ঢাকা আবাহনী। নিজেদের ঐতিহ্যবাহী প্রতিপক্ষ ক্লাব মোহামেডানের স্পোর্টিং ক্লাব থেকে উজবেক মিডফিল্ডার মুজাফর মুজাফরোভকে ধারে দলে আনার পরিকল্পনা প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে আবাহনী। তবে মুজাফর শুধুমাত্র এএফসি কাপেই আবাহনীর হয়ে খেলবে।

আবার মুজাফরের পাশাপাশি এএফসি কাপের জন্য চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে মিশরীয় মিডফিল্ডার মোস্তফা খারাবা, নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ডেভিড অজোকু, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ফরোয়ার্ড  কর্নিলিয়াস স্টুয়ার্টকে দলে ভিড়িছে ধানমন্ডির জায়ান্টরা। মিড এবং এটাকিং লাইনআপের পাশাপাশি নিজেদের রক্ষণের দিক থেকে নজর সরায় নি ঐতিহ্যবাহী দলটি, ফর্টিসের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো কুইপাপা নিয়ে রক্ষণের ভিত শুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে আবাহনী। অন্যদিকে নিজেদের দলে কান্ডারী কোস্টারিয়ান ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেসকে ছেড়ে দিলেও রাফায়েল আগোস্তো এবং ইউসেফকে রেখে দিয়েছে আবাহনী।

অন্য সবাই এএফসি কাপের জন্য আবাহনীতে আসলেও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ছেড়ে পুরো মৌসুমের জন্য ঢাকা আবাহনীতে যোগ দিতে যাচ্ছেন ক্যারিবীয় দীপপুঞ্জের দেশ সেন্ট ভিনসেন্ট এন্ গ্রেনাডাইনের মিডফিল্ডার কর্নিলিয়াস স্টুয়ার্ট। আগামী সিজনে আকাশী নীল জার্সিতে তাকে মাঠ মাতাতে দেখা যাবে।

কর্নিলিয়াস স্টুয়ার্ট এই সিজনে খেলেছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে। শেখ জামালের আগে এই ক্যারিবীয় খেলোয়াড় মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়া এফসির হয়ে খেলেছিলেন। সদ্য সমাপ্ত হওয়া এই সিজনে সিজনে মাজিয়া ছেড়ে শেখ জামালে যোগ দেন কর্নিলিয়াস।

তিনি জামালের দুর্দান্ত এক সিজন পার করেন। জাতে মিডফিল্ডার হয়েও জামালের অন্য সকল খেলোয়াড় থেকে গোল করা এবং গোল করানোতে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রেখেছেন কর্নিলিয়াস। এই মৌসুমের বিপিএলে তিনি ২০ ম্যাচ খেলে ১০টি গোল করেন এবং ৪ টি এসিস্ট করেছেন। লীগে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় যৌথভাবে তৃতীয়তে আছেন।

Previous articleক্ষ্যাপ খেলায় ব্যস্ত জাতীয় নারী দলের ফুটবলাররা!
Next articleসেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হচ্ছে যারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here