এশিয়ান ক্লাব ফুটবলে নতুন সংযোজন ‘এএফসি নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ’। এ বছর থেকেই মাঠে গড়াচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশি কোন ক্লাব এই আসরে অংশ না নিলেও অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন চার নারী ফুটবলার! ভুটানের ক্লাব রয়েল থিম্পু কলেজের হয়ে এশিয়ার নারী ক্লাব ফুটবলার সর্বোচ্চ আসরে খেলবেন তারা। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহ দেখায় ক্লাবটি। বাফুফের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ায় এই চারজনকে দলে পাচ্ছে তারা।

এএফসি নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম আসরের মূল পর্বে খেলবে মোট ১২টি ক্লাব। যেখানে ৮টি ক্লাব সরাসরি গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। গ্রুপ পর্বের বাকি ৪টি স্থানের জন্য প্রিলিমিনারী রাউন্ডে খেলবে ১৩টি ক্লাব। যেখানে খেলবে ভুটানের ক্লাবটিও। ঘরের মাঠে প্রিলিমিনারী রাউন্ডে ইরানের ক্লাব বাম খাতুন (২৫ আগষ্ট) এবং হংকংয়ের ক্লাব কিটচের (২৮ আগষ্ট) বিপক্ষে খেলবে রয়েল থিম্পু কলেজ। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ মিলবে।

দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বাংলাদেশ তো বটেই নারী ফুটবলে এই অঞ্চলের কিংবদন্তি ফুটবলার। তার সঙ্গে মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা কিংবা ঋতুপর্ণা চাকমারাও নিয়মিত ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছেন। কদিন আগেই ভুটানের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠ থেকে দুই প্রীতি ম্যাচেই জয় নিয়ে ফিরে বাংলাদেশ। যেখানে এই চারজনই নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেন। তাই তাদের দিকে নজর দিয়েছে ভুটানের ক্লাবটি।

সাবিনা খাতুন বেশ কয়েকবার দেশের বাইরের ক্লাবে খেললেও মারিয়া, মনিকা ও ঋতুপর্ণার সামনে এবারই প্রথম দেশের বাইরের ক্লাবে খেলার সুযোগ মিলেছে। নারী ফুটবলারদের এমন সুযোগ বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বেশ খুশি। তিনি বলেন,

“আমার কাছে অবশ্যই ভালো লাগবে যখন আমার মেয়েরা বাইরে খেলতে যাবে সেটা আমি মনে করি সেটা নারী ফুটবলের জন্য একটা বড় অর্জন। আমার মেয়েরা বেটার পারফর্ম করছে, কোয়ালিটি অফ ফুটবল দেখেই তো তারা তাদের চাচ্ছে। এটা অবশ্যই বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জন্য গুড সাইন।”

Previous articleমারুফুল হকের অধীনে অনুশীলন শুরু যুবাদের
Next articleনারী সাফকে ঘিরে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বাফুফে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here