আগামী ২১ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হবে ‘সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩’। পূর্বের কয়েক বছরের তুলনায় এবারের সাফ হতে যাচ্ছে আরো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কারণ এবারের সাফে অংশ নেবে ৮ টি দল। আলোচনা চলছে ইন্দোনেশিয়া কিংবা সৌদি আরবের অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে সাফে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে। অপরদিকে বাংলাদেশের কাছে এই টুর্নামেন্টের মাহাত্ম্যটাই অন্যরকম। সাফে যেন জোর প্রস্তুতি নিয়ে দল যেতে পারে সে লক্ষ্যে তাই এখন থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
আজ বাফুফে ভবনে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ আমন্ত্রণে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। জুনের প্রতিযোগিতাকে ঘিরে কেমন প্রস্তুতি হওয়া উচিত, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটি থেকে দিক-নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। ঈদের পর সভা করে দলের প্রস্তুতি নিয়ে সিদ্ধান্তগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে।
সভা শেষে কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘জাতীয় টিমস কমিটির সভা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শেষ ফিফা উইন্ডো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জুনে পরের উইন্ডো রয়েছে। সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সেসময় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। আমরা বিভিন্ন অপশন দেখছি। কোথায় অনুশীলন করা যেতে পারে। কীভাবে করবো। কার সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারি।’
শুধু যে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে কথা হয়েছে তা কিন্তু নয়, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অন্য সূচিও নিয়েও আলোচনা এগিয়ে রেখেছেন ন্যাশনাল টিমস কমিটির সদস্যরা। আগামী ৪ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব এবং ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর হবে এশিয়ান গেমস, রয়েছে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বও। এ বিষয়ে কাজী নাবিল বলেছেন, ‘সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আরও একটি উইন্ডো রয়েছে। অলিম্পিক, ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ক্লাব এএফসি কাপে খেলবে। সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকে যা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আবারও ঈদের পর আমরা বসবো। তখন সিদ্ধান্ত দিতে পারবো।’