এবার অপেশাদারিত্বের চরম সীমায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বর্তমান পরিস্থিতিতে নারী দলের খেলোয়াড় ও কোচের দ্বন্দ যেনো ফুটন্ত তেলে পরিণত হয়েছে। তবে ভক্ত-সমর্থকদের পুরো সমর্থন বাটলারের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এতেই মেজাজ হারিয়ে অপেশাদারিত্ব দেখিয়েছে নারী ফুটবলারা।
গত সাফের সময় থেকে কোচ পিটার বাটলার ও নারী দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। বাটলার নতুন করে দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর সম্পর্কের তিক্ততার পারদ উচ্চসীমায় পৌঁছে গেছে। এতে করে কোচের অধীনে অনুশীলন বয়কটের ডাক দেয় সিনিয়র খেলোয়াড়েরা। প্রকৃত পক্ষে নিজেদের সিন্ডিকেট টিকিয়ে রাখতে এমন নাটুকপনা আচরণ করে সাবিনা-সানজিদারা।
মূলত খেলোয়াড়েরা অনুশীলন ও খেলার থেকে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় খেলোয়াড়দের উপর চটেছেন বাটলার। তার দৃষ্টিকোণ থেকে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স সবার আগে। তার দৃষ্টিতে সিনিয়র কিংবা জুনিয়র সবাই সমান।
গত ৩০ তারিখ সংবাদ সম্মেলনের পর ভক্ত সমর্থকদের সমর্থন পুরোপুরি কোচ পিটার বাটলারের দিকে ঘুরে যায়। কফি খাওয়ার স্বাধীনতার মতো নিজেদের বাচ্চাসুলভ অভিযোগের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ট্রল,সারকাজমের শিকার হন ফুটবলাররা।
ট্রলের শিকার হয়ে মেজাজ হারান খেলোয়াড়েরা, দিতে থাকে নিজেদের অপেশাদারিত্বের পরিচয়। পরবর্তীতে নিজেদের হাস্যকর অতি আত্মবিশ্বাস ও অহমিকার ট্রলের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। মেজাজ হারিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন জনের কমেন্টের উত্তর দিতে শুরু করেন। তার মধ্যে ঋতুপর্ণা চাকমা অন্যতম।
তথাকথিত জাতীয় ক্রাশ নিজের পরিচিত রূপ পাল্টে ফেলেন, নতুনরূপে বিভিন্নজনকে বিষদাগার করতে থাকেন। অন্যদিকে বাটলার অনুশীলন পর্ব আরো কঠিন আকার ধারণ করেছেন। পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে অনুশীলন পর্বে খেলোয়াড়দের সাথে মোবাইল ফোন রাখার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা বসিয়েছেন। এর পাশাপাশি সিনিয়র সিন্ডিকেট তৈরি করা প্লেয়াররা দলে থাকলে তিনি দল ছাড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন।