বাংলাদেশ ফুটবল বর্তমানে মাঠ সংকটসহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় প্রতি মৌসুমে বিভিন্ন জেলা স্টেডিয়াম ভাড়া নিতে হচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)। তবে এই সংকট মোকাবিলায় একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ১০ বছরের জন্য বাফুফেকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, সংস্কারকাজ শেষ হলে এখানে নিয়মিত ফুটবল ম্যাচ আয়োজন সম্ভব হবে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারও দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং জানুয়ারি থেকে এখানে খেলা শুরু হতে পারে।
বাংলাদেশ ফুটবলে আরেকটি ইতিবাচক সংযোজন হলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় হামজা চৌধুরির জাতীয় দলে যোগদান। ক্রীড়া উপদেষ্টা মনে করেন, তার উপস্থিতি দেশের ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। এটি বিদেশি ক্লাবে খেলা অন্যান্য খেলোয়াড়দেরও জাতীয় দলে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করবে।
ক্রীড়াঙ্গনে স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফেডারেশনগুলোতে অ্যাডহক কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ অনুযায়ী ইতোমধ্যে ৯টি ফেডারেশনে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার নতুন কমিটি গঠনে বিলম্বের কারণে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ফুটবল ও ক্রিকেটের বাইরে অন্যান্য খেলাগুলোর উন্নয়নে বর্তমানে পৃষ্ঠপোষকতা সীমিত থাকলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য আনতে স্পোর্টস ভিলেজ ও উন্নত প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সফলতা অর্জন করা গেলে এসব খেলায় পৃষ্ঠপোষকতার পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া, বড় ফেডারেশনগুলো, যেমন বিসিবি ও বাফুফে, গঠনতন্ত্র সংস্কারের কাজ করছে। এই কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো অনিয়ম ও দুর্নীতি কমাতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি, নিয়মিত অডিট ও অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়নের মাধ্যমে ফেডারেশনগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার পরিকল্পনাও করা হয়েছে।