অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কোচ হিসেবে বাফুফে এলিট একাডেমিতে যোগ দিয়েছেন ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্টহাম ইউনাইটেড এবং ওয়েস্টব্রম উইচের সাবেক খেলোয়াড় পিটার বাটলার। খেলোয়াড়ী জীবণের পাশাপাশি কোচিংয়েও অভিজ্ঞতা রয়েছে এই ইংলিশ ম্যানের। নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের আফ্রিকার বটসোয়ানা ও লাইবেরিয়া জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বেও তাকে দেখা গিয়েছে।
বাটলারের সাথে গত বছরের ডিসেম্বরে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিলো। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর তখনিই কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিলো বাটলারের। কথা ছিলো ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দায়িত্ব বুঝে নিবেন তিনি। তবে সেইসময় বড়দিনের ছুটি ঘনিয়ে আসার কারণে পিছিয়ে যায় তার কাজে যোগ দেওয়ার সময়। পরবর্তীতে ১লা জানুয়ারি বাটলার এলিট একাডেমির কোচের দায়িত্বে আসবেন এমনটা ঠিক করা হয়। অবশেষে আজ ১৮ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে এলিটের কোচ হিসেবে নাম লিখালেন বাটলার।
আজ বিকালে নিজের নতুন ছাত্রদের সাথে পরিচয় পর্বের পাশাপাশি একাডেমি আনুষঙ্গিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করেছেন বাটলার। এইসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। পরিচয় পর্ব শেষ করে গণমাধ্যমের সামনে নিজের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন বাটলার। প্রথমে তিনি তার খেলোয়াড়ী এবং কোচিং ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতার কথা সবার সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমি আমার খেলোয়াড়ী জীবণ চ্যাম্পিয়নশীপের দল হান্ডার্সফিল্ড টাউনের হয়ে শুরু করি। পরবর্তীতে ওয়েস্টহাম ইউনাইটেডের হয়ে প্রিমিয়ার লীগ খেলারও অভিজ্ঞতা রয়েছে। কোচিং ক্যারিয়ারে আমি এশিয়ার কিছু ক্লাবের দায়িত্বও পালন করেছি। তার মধ্যে রয়েছে মালেশিয়ার তেরেঙ্গানু এফসি, সাবাহ এফসি, কালান্তান এফসি।”
এলিট একাডেমির ছাত্রদের বাংলাদেশ ফুটবলের ভবিষ্যত হিসেবে দেখছেন করেছেন পিটার বাটলার। তিনি বলেন, “এই যে এদের দেখছেন এরাই বাংদেশের ফুটবলের ভবিষ্যত। তাদের নিয়ে কাজ করার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। আমি এই কাজ করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা পাই।”
এর আগে এলিট একাডেমির দায়িত্বে ছিলেন বাফুফে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি। তিনি এইবছরের জুনে তার দায়িত্ব ছেড়েছেন। স্মলি চলে যাওয়ার পর কোচের দায়িত্বে সাময়িকভাবে স্থলাভিষিক্ত হোন রাশেদ আহমেদ পাপ্পু। পাপ্পুও অক্টোবরের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। তাই অবশেষে বাটলারই হতে যাচ্ছেন এলিট একাডেমির আস্থার প্রতীক।