পরিবর্তন এসেছে ২০২৩ চীন এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ফরম্যাটে।বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল হোম এন্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে। তবে এখন আর সেটি হচ্ছে না। হোম এন্ড অ্যাওয়ের পরিবর্তে সেন্ট্রালাইজড ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। বুধবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)।
সংস্থাটির নির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। মূলত করোনা পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের সুরক্ষার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর জুনের ৮, ১১ ও ১৪ তারিখে হবে তিনটি ম্যাচ। এই বাছাই পর্বের জন্য স্বাগতিক হতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদনও নেবে এএফসি।
১৯৮০ সালে একমাত্র এশিয়া কাপ খেলেছিল বাংলাদেশ। নতুন এই ফরম্যাটের ফলে কিছুটা সম্ভাবনা বেড়েছে। যদিও সব কিছু নির্ভর করছে গ্রুপিং ও দলের পারফরম্যান্সের ওপর। এখনো গ্রুপিং হয়নি। ৬ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল বাছাই থেকে এশিয়া কাপ খেলার সুযোগ পাবে। আর এশিয়া অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরবর্তী পযার্য়ের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ১২ দল ইতোমধ্যে ২০২৩ এশিয়া কাপ নিশ্চিত করেছে। ২৪ দল নিয়ে হবে এশিয়া কাপ।
মোট ২৪টি দল ছয় গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে বাছাই পর্বে। আগের নিয়মে প্রতি দলকে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েতে ৬টি ম্যাচ খেলতে হতো বছর জুড়ে। এখন নতুন নিয়মে এক সপ্তাহে তিন ম্যাচ খেলতে হবে। তিন ম্যাচের মধ্যে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করলেও মৃদু সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের পুনরায় এশিয়া কাপ খেলার।
মাত্র তিন ম্যাচের বাছাইপর্বে এক ম্যাচে জয় ও ড্র পেলেও গ্রুপ রানার্স আপ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে এশিয়ান কাপে চলে যেতে পারে বাংলাদেশ। যদিও সবকিছুই নির্ভর করছে ফুটবলারদের পারফরম্যান্সের ওপর। ২০২৩ সালের ১৬ জুন থেকে ১৬ জুলাই চীনে এই এক মাস হবে এশিয়ান কাপ।