আসছে জুনে এএফসি এশিয়ান কাপের মূল বাছাইপর্বে ‘ই’ গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে বাহরাইন, তুর্কমেনিস্তান ও স্বাগতিক মালয়েশিয়া। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৮ জুন বাহরাইনের বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচ ১১ জুন তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে এবং শেষ ম্যাচ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ১৪ জুন। বাছাইপর্ব উতরে দীর্ঘ সময় পর আবারো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার হাতছানি রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু জাতীয় দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ফেডারেশন।
তাইতো জুনের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে বাড়তি প্রস্তুতির অংশ হিসেবে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। প্রতিপক্ষ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া ও লাওসের সঙ্গে কথা বার্তা চলছে জানান বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। তবে বাংলাদেশ চেয়েছিল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১৭১তম অবস্থানে থাকা কম্বোডিয়ার সঙ্গে খেলতে, কিন্তু তারা বাংলাদেশের সঙ্গে খেলতে আগ্রহী নয়। ফলে ইন্দোনেশিয়া ও লাওসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাফুফে। দুই দেশই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে জানান আবু নাঈম সোহাগ। আগামী সপ্তাহেই প্রতিপক্ষ ও ম্যাচের ভেন্যুর চূড়ান্ত করে ফেলার ব্যাপারে আশাবাদী বাফুফে।
মূলত এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব সামনে রেখেই স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরার কাছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল বাফুফে। কিন্তু নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে ব্যর্থই বলা চলে ক্যাবরেরাকে। তার অধীনে মালেতে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-০ গোলের হার এবং সিলেটে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ। পাসিং ফুটবল খেলে প্রশংসা অর্জন করতে পারলেও গোল মিসের মহড়া দিয়ে গিয়েছেন ফরোয়ার্ডরা। তাইতো এশিয়ান কাপের মূল বাছাইপর্বে নামার আগে কোচকে আরো একবার দলকে পরখ করার সুযোগ করে দিতে চায় ফেডারেশন। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত বাছাইপর্বে নিজেদের প্রমাণ করে কতোটা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে ‘বেঙ্গল টাইগার্স’!