বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথমবারের মতো একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হবে। তবে দল থেকে কতজন সদস্য এই স্বীকৃতি পাবেন, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে প্রশ্নের।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বাফুফের কাছে ১১ জনের নাম চেয়েছে, যারা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শুরুর একাদশে ছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) মনে করে, পুরো ৩২ সদস্যের দলকেই স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ দলের প্রধান বাফুফের সদস্য টিপু সুলতান বলেন,
‘ফিফার গাইডলাইন অনুযায়ী কন্টিনজেন্ট থাকে ৩২ জনের। তার মধ্যে টিম স্কোয়াড ২৩ জনের। সবাই মেধা ও দক্ষতার মাধ্যমে এই সাফল্য এনেছে, তাই পুরো স্কোয়াডকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।’
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানান,
‘আমরা শুরুতে ৩২ জনের তালিকা পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তা কমিয়ে ১১ জনের নাম দিতে বলে। তবে আমাদের মনে হয়, সাফল্যের পেছনে পুরো টিমের অবদান রয়েছে। নতুন করে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তালিকা পাঠানো হয়েছে।’
কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন বয়কট করেছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ ১৮ জন সিনিয়র খেলোয়াড়। তাদের অভিযোগ, কোচ ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন এবং তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেন না। অপরদিকে, কোচ পিটার বাটলার নিজের সিদ্ধান্তে অনড় এবং শৃঙ্খলাকে সবার ওপরে রাখছেন। সিনিয়ররা অনুশীলন বয়কট করায়, অনূর্ধ্ব-২০ দল থেকে খেলোয়াড় নিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই একুশে পদক পাওয়ার ঘোষণা এসেছে। এখন কয়জন ফুটবলার এই পদক পাবেন, তা নিয়ে যেমন অনিশ্চয়তা রয়েছে, তেমনি পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে কোচ ও খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্ব নিয়ে কোনো নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় কিনা, তা নিয়েও সংশ্লিষ্টরা চিন্তিত।