বসুন্ধরা কিংসের হয়ে নিজের জাদু আগেও দেখিয়েছেন। কিন্তু আবাহনীর জার্সিতে বাংলাদেশে নিজের প্রত্যাবর্তনে সমর্থকদের প্রথম দুম্যাচে ততটা খুশি করতে পারেননি কোস্টারিকার হয়ে বিশ্বকাপ খেলা ডেনিয়েল কলিন্ড্রেস। কিন্তু স্বাধীনতা কাপের নক আউটে এসেই আবারো নিজের সক্ষমতার বার্তা দিয়ে দিলেন তিনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-০ গোলে পরাজিত করেছে ঢাকা আবাহনী, যেখানে কলিন্ড্রেসের অবদান দুই গোল ও এক এসিস্ট।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া ডরিয়েলটনের শট বাঁ দিকে ঝাপিয়ে রুখে দেন সেনাবাহিনীর গোলরক্ষক আলমগীর। খেলার ৩৩ মিনিটে একটি থ্রু বল নিয়ে বক্সে ঢুকে ডেনিয়েল কলিন্ড্রেসের নেয়া বাঁ পায়ের শট বারের উপর দিয়ে চলে গেলে আবার লিড নেয়ার সুযোগ হারায় আবাহনী। একের পর এক আবাহনীর আক্রমণ রুখে দেয়ার পাশাপাশি মাঝে মাঝেই প্রতি আক্রমনে উঠে আবাহনীর ডিফেন্ডারদের পরীক্ষা নেয়া সেনা বাহিনীর ফুটবলাররা। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো আবাহনী। কিন্তু বক্সের ডান প্রান্ত থেকে রাফায়েলের কাট ব্যাকে পায়ের সংযোগ ঘঠাতে ব্যর্থ হন রাকিব।
আবাহনী তাদের কাক্ষিত গোলের দেখা পায় ম্যাচের ৪৫ তম মিনিটে। উড়ে আসা একটি বল বক্সের বাঁ প্রান্তে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে জালে জড়িয়ে দেন আবাহনীর কোস্টারিকান উইঙ্গার ডেনিয়েল কলিন্ড্রেস। আবাহনীর জার্সিতে এটি তার প্রথম গোল। তার গোলে লিড নিয়েই বিরতিতে যায় আকাশী নীল বাহিনী।
দ্বিতীয়ার্ধে এসে নিজেদের ফিরে পায় আবাহনী।শুরুতেই বদলি নামা নাবিব নেওয়াজ জীবন রাফায়েলের থ্রু পাস থেকে বল জালে জড়ালেও অফসাইডে তা বাতিল হয়। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে আরো দুবার গোল করার সুযোগ পান জীবন, কিন্তু কলিন্ড্রেসের বাড়ানো দুটি ক্রসের মধ্যে একটিতে পা লাগিয়েও তা গোলরক্ষকের হাতে তুলে দেন, পরেরটি পায়েই লাগাতে ব্যর্থ হন ইনজুরি ফেরত এই ফরোয়ার্ড।
কিন্তু ৬৭ মিনিটে আর ভুল করেননি জীবন। আবারো সেই ডেনিয়েল কলিন্ড্রেসের শটে ডাইভিং হেডে বল জালের ঠিকানায় পৌঁছে দেন তিনি। এতে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। এর তিন মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় ও দলের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন ডেনিয়েল কলিন্ড্রেস। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেয়া ফ্রিক কিক দূরের পোস্ট দিয়ে জালের ঠিকানায় পৌঁছে দেন এই বিশ্বকাপার।
খেলার ৭৬ মিনিটে আসে চতুর্থ গোল। রাকিবের তুলে দেয়া বলে হেড করে আবাহনীর জার্সিতে নিজের নতুন শুরুর প্রথম গোলটি করে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ইমন মাহমুদ। চার গোল হজম করে নিজেদের আর ফিরে পায়নি প্রথমার্ধে অসামান্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বাংলাদেশ সেনা বাহিনী। বরং ৮১ মিনিটে রাকিবকে ফাউল করে সেনাবাহিনীর হুমায়ুন সরাসরি লাল কার্ড দেখে দলের জন্য আরো বিপদ বাড়ান। তবে শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ৪-০ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে সেমিফাইনালে উর্ত্তীর্ণ হয় মারিও লেমসের শিষ্যরা।