শুরুতে লিড নিয়েও শেষ পর্যন্ত ললাটে লিখন পরাজয় এড়াতে পারলো না রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। বসুন্ধরা কিংসের ঘরের মাঠ বসুন্ধরা কিংস এরেনাতে আশা জাগিয়েও শেষে এসে হতাশায় ডুবলো পুরান ঢাকার দলটি।
কর্ণার থেকে হেডে গোল করে রহমতগঞ্জকে ম্যাচের চালকের আসন পাইয়ে দেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। ম্যাচের ২৮ মিনিটে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির ডিফেন্ডার মাহমুদুল হাসান কিরণের কর্ণার কিক থেকে হেড করে গোল করেন চিজোবা।
তবে লিড বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারে নি রহমতগঞ্জ। পিছিয়ে পড়ার মাত্র ৪ মিনিট পর সমতায় ফিরে বসুন্ধরা কিংস। বসুন্ধরা কিংসকে সমতায় ফেরান রবসন। সোহেল রানার পাসে মাঠের বামপ্রান্তে বল পায় রবসন। সেখান থেকে দুইজনকে কাটিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে ক্রস করেন। ক্রসিংয়ে বলের লাগান পেয়ে গোল বরাবর শট নেন বসুন্ধরার মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ। কিন্তু শট ঠেকিয়ে দেন রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার আশুরোরভ। এরপর বক্সের ভেতরে কিছুটা জটলার সৃষ্টি হয়। জটলা রহমতগঞ্জের রক্ষণের খেলোয়াড় বল ক্লিয়ার করলেও বল পেয়ে যায় বসুন্ধরার বিশ্বনাথ ঘোষ। বিশ্বনাথ থেকে রবসন, রবসন থেকে আবারো বিশ্বনাথ। বিশ্বনাথ আবারো থ্রু পাস বাড়িয়ে দেয় রবসনের কাছে। রবসন বলকে গোলরক্ষক তুষারের মাথার উপর দিয়ে তুলে দিয়ে গোল আদায় করে নেন।
প্রথমার্ধের শেষ মুহুর্তে এসে ম্যাচের এবার এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। মাঝমাঠের উপর থেকে রবসনের লং পাসে বক্সের ভেতরে কিছুটা লাফ দিয়ে ডান পায়ে বলের দখল নেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তারপর খানিকটা সময় নিয়ে গোলরক্ষকে বোকা বানিয়ে গোল করেন ইব্রাহিম। পরমুহূর্তেই পেনাল্টি থেকে গোল পেয়ে সমতায় ফিরে রহমতগঞ্জ। বক্সের দখল লড়াইয়ে বসুন্ধরা কিংসের তারিক কাজীর সাথে সংঘর্ষ লেগে রহমতগঞ্জের ফিলিপ আদজার মাটিতে পড়ে গেলে রেফারি পেনাল্টির ঘোষণা দেয়। পেনাল্টি থেকে স্পট কিকে গোল করেন সানডে চিজোবা।
এতে করে ২-২ গোলের ড্র দিয়েই বিরতিতে যায় দুইদল। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৫ মিনিটে ইয়াসিন আরাফাতের গোলে ম্যাচে আবারো এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। তবে শেষ পর্যন্ত রহমতগঞ্জ গোল শোধ দিতে না পারলে ৩-২ গোলে জয় পায় বসুন্ধরা কিংস।
এই জয়ে ৫ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আছে বসুন্ধরা কিংস, অন্যদিকে ৫ ম্যাচে ১ ড্র ও ৪ হারের ফলে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার এগারোতে আছে রহমতগঞ্জ।