বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (বিসিএল)। দেশের উদীয়মান তরুণ ফুটবলারদের পেশাদার ফুটবলের শীর্ষ স্তরে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে এই লিগ। এর পাশাপাশি এই লিগে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ হওয়া ক্লাবগুলোরও সুযোগ থাকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার। তাইতো দেশের ঘরোয়া ফুটবলে বিসিএলের গুরুত্ব অনেকটা অপরিসীমই বলা যায়।
তবে প্রতি বছরই এই লিগ নিয়ে থাকে নানান বিতর্ক। নতুন একটি মৌসুমে আসলে নেতিবাচক দিক দিয়ে বিসিএল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে এটিই যেন ধ্রুব সত্য। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নতুন মৌসুমে বিসিএলে খেলবে মাত্র ৮ দল! অথচ গত মৌসুমেই খেলেছিল ১৪ টি দল। অংশগ্রহণ না নেওয়ার ব্যাপারে প্রতি দলেরই রয়েছে বিভিন্ন অজুহাত। কারো রয়েছে আর্থিক সংকট, কেউ পূরণ করে নি ক্লাব লাইন্সেসিং সকল শর্ত, কেউ আবার সিনিয়র টিম নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে গিয়ে জুনিয়র টিমকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা রাখছে না।
তারপরও ঘরোয়া ফুটবলের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সঠিক সময়েই মাঠে গড়াচ্ছে বিসিএল। আগামীকাল (১৯ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাফুফে এলিট একাডেমি ও ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে এবারের বিসিএলের। এর আগে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হবে। যেখানে বাফুফের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এবারও বিসিএল অনুষ্ঠিত হবে কমলাপুরেই। বিপিএলের মত বিসিএলেরও স্পন্সর “এবিজি বসুন্ধরা”।
এবারের বিসিএলে খেলা ৮টি ক্লাব হলো: ফকিরেরপুর ইয়ংমেন্স ক্লাব, নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব, ওয়ারী ক্লাব, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, পি ডব্লিউ ডি স্পোর্টস ক্লাব, ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব ও বাফুফে এলিট একাডেমি।