এগিয়ে এসেছে বাফুফে নির্বাচন। আগামী ২৬ শে অক্টোবর বাফুফে নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি আপিল কমিশনও গঠিত হয়েছে। আগামীকাল গঠিত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচন তফসিল উপস্থাপন করা হবে।
বাফুফে নির্বাচন উপলক্ষ্যে আজ প্রথম নির্বাচন কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধারণা করা হচ্ছিলো আজকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন নির্বাচনী তফসিল পেশ করবেন। কিন্তু আজকে তিনি তফসিল পেশ করেননি, আজ তফসিল পেশ না করলেও জানিয়েন বিভিন্ন বিষয়দি পর্যালোচনা করে আগামীকাল তফসিল পেশ করবেন। তিনি বলেন, “আমরা আজ নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচনা করেছি। বিগত নীতিমালা, গঠনতন্ত্র পর্যালোচনাও করে একটি তফসিল তৈরিও করেছি। সেগুলো আরেকটু আজ দেখে আগামীকাল সকাল সাড়ে এগারোটায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবো।”
বিগত চারবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মেজবাহ উদ্দিন। প্রতিবারই নির্বাচনে জয় পেয়েছিল সালাউদ্দিন। এবারে আগে থেকে নির্বাচন থেকে সরেযান সালাউদ্দিন, তবে এবারেও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন মেজবাহ উদ্দিন। তবে এবারই শেষবার বলেন জানিয়েছেন তিনি, “আমি চার বার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলাম। চার বারই একই সভাপতি। সালাউদ্দিন নেই আমিও নেই এই প্রশ্ন যেন না আসে এজন্য আবার দায়িত্ব নিয়েছি, এটাই আমার শেষ দায়িত্ব।”
গত নির্বাচনগুলোতে প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক চাপের প্রভাব ছিলো। এবারেও থাকবে কিনা সেই প্রশ্নে মেজবাহ উদ্দিন বলেন, “রাজনৈতিক চাপ থাকলে সেটা প্রার্থীর ক্ষেত্রে। আমাদের নির্বাচন কমিশনে কোনও চাপ ছিল না। প্রার্থীতার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনও হাত নেই।”
এবারের বাফুফে নির্বাচনে ইলেকট্রিক ভোটিং সিস্টেম ব্যবস্থায় নির্বাচন কার্য পরিচালনার দাবি উত্থাপন করা হয়। তবে সেই দাবি গৃহীত হয়নি। এই প্রসঙ্গেও নিজের মত প্রকাশ করেছেন মেজবাহ উদ্দিন। তিনি বলেন, “একটি পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হলে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন এটা করতে পারে না। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ম্যানুপুলেশনের সুযোগ থাকে।”