বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে এসেই হাইভোল্টেজ ম্যাচের দেখা মিলেছে। গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ মুখোমুখি হয় কুমিল্লায়। বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডান ম্যাচ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ উত্তেজনা ছড়ায়। এবার সেরকম আরো একটা ম্যাচের সাক্ষী হলো কুমিল্লার ফুটবল প্রেমীরা। যেখানে ১০ জন নিয়েও বসুন্ধরা কিংসকে হারের স্বাদ দিয়েছে মোহামেডান। দিনের আরেক ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে রহমতগঞ্জ।
কুমিল্লার ভাষাশহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে সামনে সমান লড়তে থাকে দুই দল। যদিও মাঠের বাজে অবস্থা সমর্থকদের ভালো খেলা থেকে বঞ্চিত করে। তারপরও মর্যাদার লড়াইয়ে চেষ্টার কমতি ছিল কারো। তবে ম্যাচের ২৪তম মিনিটেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় মোহামেডান। রক্ষণ থেকে বাড়ানো লং বল রাকিবের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে সেটা রুখতে বক্সের বাইরে এসে ফাউল করে বসেন হোসেন সুজন। আঘাত পেলেও তাকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়।
তবে ১০ জনের দল হয়ে যেন আরো শক্তিশালী হয়ে উঠে মোহামেডান। কিংসের আক্রমনগুলো বারবার নস্যাৎ করতে থাকে তারা। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যায় আলফাজ আহমেদ শিষ্যরা। ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে রহিম উদ্দিনের বাড়ানো বল কিংসের রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে আগুয়ান শ্রাবণকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে দেন সুলেমান দিয়াবাতে।
এরপর ম্যাচের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পান তিনি। তবে মেহেদী হাসান শ্রাবণ তার পেনাল্টি রুখে দেন। মাঝে কিংস বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করলেও মোহামেডানের বদলি গোলকিপার সাকিব আল হাসান ও রক্ষণভাগ আস্থার সঙ্গে সেগুলো প্রতিহত করেন। ফলে চ্যালেঞ্জ কাপে হারের মোক্ষম প্রতিশোধ নিয়ে নেয় মোহামেডান।
এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে মুন্সিগঞ্জে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে মাঠে নামে রহমতগঞ্জ। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই খেলার গতি বদলে নেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে মোস্তফার এসিস্টে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন জীবন। এরপর ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে স্যামুয়েলের এসিস্টে নিজের জোড়া গোলের সঙ্গে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।