নিয়ম ভঙ্গ করায় বসুন্ধরা কিংসকে বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হলো। গত ২৬ আগষ্ট বাফুফের ডিসিপ্লিনারী কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ৯ আগষ্ট বসুন্ধরা কিংস-শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচের পর ঢাকা আবাহনী-আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের ম্যাচ ছিলো। বৃষ্টির কারণে মাঠ কর্দমাক্ত থাকায় বসুন্ধরা-শেখ জামালের ম্যাচের পর ম্যাচ কমিশনার কতৃক বিজয় উৎযাপন না করার অনুরোধ ছিলো। কিন্তু বসুন্ধরা কিংসের টিম ম্যানেজার জনাব এস এম ওয়াশিমউজ্জামান খেলোয়াড় ও অফিশিয়ালদের নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে বিজয় উৎযাপন করেন।
এছাড়া বসুন্ধরা কিংসের মহিলা ফুটবল দলের সহকারী প্রশিক্ষক জনাবা মাহমুদা আক্তারসহ দলের কিছু সমর্থক ১নং গেট দিয়ে মাঠে প্রবেশ করে বিজয় উৎযাপনে সামিল হয়। ম্যাচ কমিশনের অনুরোধ সত্ত্বেও নিময় ভঙ্গ করার দায়ে বসুন্ধরা কিংসকে ১,০০,০০০(এক লক্ষ) টাকা জরিমানা করা হয়েছে পাশাপাশি ভবিষ্যতে অনুরূপ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্যে কঠোরভাবে সর্তক করেছে বাফুফে ডিসিপ্লিনারী কমিটি।
অন্যদিকে ম্যাচের সময় নষ্ট করা জন্যে রহমতগঞ্জকে জরিমানা করা হয়। গত ১৪ আগষ্ট মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হয় রহমতগঞ্জ। ম্যাচের ৭১ মিনিটে কর্ণার কিক থেকে মোহামেডান গোল করলে রহমতগঞ্জের খেলোয়াড় ও ক্লাব অফিশিয়ালগণ কর্ণার সঠিক হয়নি এবং হ্যান্ডবল হয়েছে বলে রেফারির কাছে দাবি জানায়। এতে করে ৪ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। বিনা কারণবশত সময় নষ্ট করার জন্যে রহমতগঞ্জকে প্রতি মিনিটের জন্যে ৩,০০০(তিন হাজার) টাকা করে মোট ১২,০০০(বারো হাজার) জরিমানা করেছে বাফুফে ডিসিপ্লিনারী কমিটি এবং ভবিষ্যতের জন্যে সর্তক করে দিয়েছে।
জরিমানা যেনো পিছু ছাড়েনি রহমতগঞ্জের। পরবর্তী ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে জরিমানার পাল্লা আরো৷ ভারী হয়ে দাঁড়ায়। উক্ত ম্যাচে রহমতগঞ্জের বলবয় রাজু ও মোঃ সোহাগ প্রতিপক্ষ আবাহনীর দলের বলবয় জুয়েল রানার সাথে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে করে বাফুফে ডিসিপ্লিনারী কমিটি দুইদলকে ১০,০০০(দশ হাজার) টাকা করে জরিমানা করে। সেই সাথে রহমতগঞ্জের বলবয় রাজু,মোঃ সোহেল এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর বলবয় জুয়েল রানাকে তাদের নিজ দলের পরবর্তী চার ম্যাচ অংশ নিতে নিষেধ করা হয়।
নিয়ম বহির্ভূত কারণে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকেও বড় পরিমাণ অর্থ জরিমানা করে ডিসিপ্লিনারী কমিটি। প্রিমিয়ার লীগে গত ২১ আগষ্ট শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের মধ্যকার ম্যাচে শেষে উভয় দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের ড্রেসিংরুমে ফিরছিলো। তখন ব্রাদার্স ইউনিয়নে বলবয় আনোয়ারের সাথে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের খেলোয়াড় মোহাম্মদ শাকিল আহমেদের ভাই জাকির আহমেদ প্রথমদিকে গালিগালাজের পর পরবর্তীতে মারামারি শুরু করে। পরবর্তীতে ব্রাদার্স ইউনিয়নের খেলোয়াড় ছামির উল্ল্যাহ,বলবয় রাজু এবং শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের খেলোয়াড় মোহাম্মদ শাকিল আহমেদ,মোঃ ফয়সাল আহমেদ এবং স্টেডিয়ামে আগত একই ক্লাবের এ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ব্যতীত বলবয়গণও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি আমলে এনে বাফুফে ডিসিপ্লিনারী কমিটি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা জরিমানা করে। শেখ জামালের খেলোয়াড় মোহাম্মদ শাকিল আহমেদ ও মোঃ ফয়সাল আহমেদকে তাদের দলের পরবর্তী একম্যাচের জন্যে নিষিদ্ধ করে। যা ইতোমধ্যেই তারা পালন করেছে। এছাড়াও এ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ব্যতীত দর্শক/সমর্থক/বলবয়কে মাঠে না আনতে নির্দেশ দিয়েছে ডিসিপ্লিনারী কমিটি।
অন্যদল ব্রাদার্স ইউনিয়নকেও জরিমানাতে পড়তে হয়। ডিসিপ্লিনারী কমিটি ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা আর্থিক জরিমানা করে। দলের খেলোয়াড় ছামির উল্ল্যাহকে নিজ দলের পরবর্তী এক ম্যাচের জন্যে নিষিদ্ধ করে,যা ইতোমধ্যেই সে পালন করেছে। তাছাড়া ডিসিপ্লিনারী কোড এর ৫৩ নং ধারা অনুযায়ী ব্রাদার্স ইউনিয়নের বলবয় রাজু ও আনোয়ারকে তাদের নিজ দলের পরবর্তী চার ম্যাচে অংশ নিতে বারণ করে।
একই ম্যাচে জরিমানায় পড়তে জয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সহকারী প্রশিক্ষক জনাব হাসান আল মামুন ও দলের কয়েকজন খেলোয়াড় নিয়ম লঙ্ঘন করে মাঠের ভিতরে প্রবেশ করে এবং কর্ণার কিক কেনো দেওয়া হলো না সেজন্যে ম্যাচ পরিচালনা রেফারিকে মাঠের মধ্যে ঘিরে ধরে। এই প্রেক্ষাপটে বাফুফে ডিসিপ্লিনারী কমিটি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সহকারী প্রশিক্ষক জনাব হাসান আল মামুনকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে মাঠে প্রবেশ করায় ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা আর্থিক জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয়।