জয় দিয়ে গ্রুপ পর্ব শুরু করেছিলো এবং জয় দিয়েই শেষ করলো গ্রুপের মিশন। বলছি বসুন্ধরা কিংসের কথা। স্বাধীনতা কাপের এবারের মৌসুমে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আধডজন গোলের জয় দিয়ে শুভসূচনা, দ্বিতীয় ম্যাচ পুলিশ এফসির বিপক্ষে জয়ের পর আজ গ্রুপের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে বন্দরনগরীর দল চট্টগ্রাম আবাহনীর মুখোমুখি হয় অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। সে ম্যাচেও জয় আদায় করে নিতে ভুল করে বসুন্ধরা কিংস।

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২২ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর আরাফাতের কাছ থেকে মাঝমাঠ থেকে বল কেড়ে নিয়ে মাঠের বামপ্রান্ত থেকে আক্রমণে উঠে আসেন বসুন্ধরা কিংসের রবসন রবিনহো। পাশে সতীর্থ খেলোয়াড় এলিটা কিংসলে ও ভ্রানিয়েজ থাকলেও তিনি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো এক শটে বলকে তার লক্ষ্যে পাঠিয়ে দেন এবং স্কোরশিটে নিজের নাম তুলেন। এরপর প্রথমার্ধের শেষ দিকে কয়েক দফা ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া করে চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড়রা। এতে প্রথমার্ধ ১-০ গোলেই শেষ হয়।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় কিংস। এর মাঝে এলিটা কিংসলে ও নবাব চোটে পড়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। খেলার ৮০ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর দুইজন খেলোয়াড়ের মাঝখান দিয়ে থ্রু পাস বাড়ান রবসন। চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক আজাদও বল রুখতে জায়গা ছেড়ে এগিয়ে আসেন। বল নিয়ে ছুটতে থাকা ভ্রানিয়েজক পাশ কাটাতে চেষ্টা করলেও আজাদ বক্স বাইরে এসে হাত দিয়ে বল রুখে দেন। ফলে রেফারি সরাসরি তাকে লাল কার্ড দেখান এবং বসুন্ধরা কিংস একটি ফ্রি কিক আদায় করে নেন।ফ্রি-কিক থেকে ভ্রানিয়েজের মাটি ঘেষানো জোড়ালো শট প্রথমবার ফিরিয়ে দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর বদলি গোলরক্ষক সাইফুল। কিন্তু ফিরতি বল পেয়ে যান মোহাম্মদ ইব্রাহিম। বল পেয়ে গোল আদায় করে নিতে ভুল করেনি বদলি নামা এই উইঙ্গার।

ম্যাচের তৃতীয় গোল আসে ৮৮ মিনিটে। রবসনের বাড়ানো বল থেকে বলের দখল নেন মতিন মিয়া। বক্সের ভিতরে গোলরক্ষককে খানিকটা পাশ কাটিয়ে পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন এবং বলকে জালে দিশা দেখান। মতিন মিয়ার গোলেই ৩-০ গোলের লিড পায় বসুন্ধরা কিংস। এরপর শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে তিন গোলের জয় পায় বসুন্ধরা কিংস।

এই জয়ের ফলে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে পা রাখে বসুন্ধরা কিংস। অন্যদিকে বসুন্ধরার বিপক্ষে হারের ফলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে মারুফুল হকের দলকে। এতে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে নকআউটে পৌঁছালো গ্রুপের অন্য দল পুলিশ এফসি।

Previous articleস্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিলো বাফুফে!
Next articleস্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার প্রতিপক্ষ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here